Header Image

গৌরীপুরে তিন ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

গৌরীপুর ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৪নং মাওহা ইউনিয়নের শতাধিক হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরে বরাদ্দকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল অনিয়মের মাধ্যমে প্রায়র চার বছর ধরে আত্মসাৎ করে আসার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে উল্লেখ্য, খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর তালিকায় নাম থাকলেও তারা জানতেন না তাদের নামে কার্ড রয়েছে। তাই তাদের অজান্তেই তাদের বরাদ্দকৃত চাল প্রায় দীর্ঘ ৪ বছর ধরে আত্মসাৎ করে আসলেও অদৃশ্য কারণে তা প্রকাশ পায়নি।সম্প্রতি দেশের করোনা পরিস্থিতিতে চাল বিতরণে ডিলারদের উপকারভোগীদের নামের তালিকা দোকানের সামনে টানিয়ে রাখতে বলা হয়, এই তালিকায় নিজেদের নাম দেখতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে যায় হতদরিদ্র শতাধিক মানুষ। উপকারভোগীদের অভিযোগ, প্রায় দীর্ঘ ৪ বছর ধরে তালিকায় নাম থাকলেওতারা তা জানতো না। স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানগন আমাদের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়েছিল কিন্তু কখনো চাল দেয়নি। তবে ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যআবুল মিয়ার স্ত্রীর নাম ও ঐ তালিকায় অন্তভুক্তি করা হয়েছে তাহার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর নামেও কার্ড করা হয়েছে এমনকি নিজের আত্বীয় স্বজনদের নামে কার্ড করেছেন এতেএলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বঞ্চিত করেছেন প্রকৃত অসহাদের। মাওহা বড়ইকান্ধা গ্রামের মৃত আব্দুলমোতালিবের স্ত্রী ভিক্ষুক সুফিয়া খাতুন বলেন আমার নামেরচাল যারা চার বছর ধরে তুলে নিচ্ছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলকশাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে গত ২৭ এপ্রিল তিন জন ডিলারকে অভিযুক্ত করেগৌরীপুর উপজেলা নির্বাহীকে মাধ্যম করে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন বঞ্চিতরা এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডিলার আব্দুলজব্বার বলেন, আমার কাছে ৬৪৪ জন উপকারভোগীর তালিকা রয়েছে, যারা কার্ড নিয়ে আসছে তাদের প্রত্যেককেইচাল দেয়া হয়েছে, কেউ ফিরৎ যায়নি। কার্ডধারী ব্যক্তিরাআসল না ভূয়া আমি বলতে পারবো না, এটা স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান বলতে পারবে।  অপর ডিলার মাসুদ করিমরুবেল বলেন, আমার কাছে ৬৮৩ জনের তালিকা রয়েছে। আমি তালিকা অনুযায়ী চাল দিয়েছি। কেউ না পেয়ে থাকলে আমার কিছু করার নেই। সবার মুখ চিনে চাল দেয়া যায় না। অপর আরেকজন ডিলার আজিজুল হক ইনসানের কাছে ৬২০ জনের তালিকা রয়েছে । আমি তালিকা অনুযায়ী কার্ড দেখে চাল দিয়েছি । যদি কোন গোলমাল হয়ে থাকে তা বলতে পারবে মেম্বার চেয়ারম্যানরা। অভিযোগের বিষয়ে গৌরীপুরউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটি বিষয়টিতদন্তকরে রিপোর্ট পেশ করলেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।–

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!