আরিফ রববানীঃ
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি বলেন,করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের সর্বাত্নক ও সম্মিলিত উদ্যোগে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখা উচিত। সবার অভিন্ন শত্রু করোনা আর এই শত্রুকে পরাজিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে উদারতার ও নৈতিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্হাপন করতে হবে।
৬ মে বুধবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতার সহকারী একান্ত সচিব মামুন হাসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন,হাওর অন্চলে অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ধান কাটা প্রায় শেষ হয়েছে।আগাম বন্যায় কোনো কোনো বছর হাওড়ের ধান নষ্ট হয়,এবার তা হয়নি।সরকারসহ জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা ধান কাটায় কৃষককে সহযোগিতা করায় তাদের ধন্যবাদ জানান বিরোধীদলীয় নেতা।তিনি আরও বলেন,দুর্যোগে কোন রাজনীতি নয়,চাই জাতীয় উদ্যোগ।এ দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের আন্তরিকতার কোন অভাব পরিলক্ষিত হয়নি।
তিনি বলেন,বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে সমগ্র পৃথিবী আজ ভয়াবহ সংকটের সম্মুখীন।পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো।আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও সম্পূর্ণ অপরিচিত প্রাণঘাতী এই মহামারি মোকাবেলায় চিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।এ প্রতিকূল পরিস্হিতিতে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সাপ্তাহিক নিউজ পেপার দ্য ইকোনমিস্ট করোনা পরিস্হিতিতে অর্থনীতির নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণার তালিকায় দেখা যায় চীন – ভারত থেকে নিরাপদ বাংলাদেশের অর্থনীতি।নি:সন্দহে বলতেই হবে সম্মাজনক এ অর্জন। জনগণ যখন ঘরে বন্দি তখন প্রশাসন, পুলিশ,সেনাবাহিনী মানুষকে সচেতন করছে।ডাক্তাররা হাসপতালে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের এ কর্মপ্রয়াস অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।একদিকে লকডাউন দিয়ে অন্যদিকে দোকানপাট খুলে দেওয়ায় করোনা পরিস্হিতি যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন,জাতীয় পার্টি যখন ক্ষমতায় ছিল বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপশি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল।তিনি আশা প্রকাশ করেন,সরকারের পাশাপাশি সকল রাজনৈতিক দল,সাধারণ জনগণ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একযোগে কাজ করলে অচিরেই দেশ থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হওয়া যাবে।