মৃদুল ধর ভাবন, আশুলয়িা সাভারঃ
করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে লক ডাউন থাকায় সাভারে রুপার গহনা তৈরি করা কারিগর ও শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রুপার গহনা তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন প্রায় তিন’শ কারিগর ও কয়েক’শ শ্রমিক। গহনা তৈরি বন্ধ থাকায় সরকারের সাহায্য কামনা করেছেন তারা।
এলাকাবাসী জানায় সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে রয়েছে ৩০ টি গ্রাম। গ্রামগুলোতে বসবাস করা মানুষদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস ছিলো রুপার গহনা তৈরি করা। সরেজমিনে দেখা যায় এ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গহনা তৈরি করার সব দোকান বন্ধ রয়েছে। কারিগর ও শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন। অনেক কারিগর ও শ্রমিকরা ত্রাণের জন্য ছুটে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে।
নারী-পুরুষ মিলে মেয়েদের গহনা তৈরি করেন কারিগর ও শ্রমিকরা। যেগুলো বিক্রি হত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এছাড়া এখানকার গহনা বিদেশেও রপ্তানী হতো।
স্বর্ন ও রৌপ্যের উচ্চ মুল্যের কারনে এ ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে গহনা তৈরি করা হতো তামা ও পিতল দিয়ে। এখান থেকে পাইকাররা কিনে নিয়ে পরিশোধন ও রঙ করে বাজারে বিক্রি করে থাকতেন। যা সিটি গোল্ড বা ইমিটেশন নামে পরিচিত। এগুলো দেখতেও যেন সোনার মত তা সবার জানা। এখানে তামার ব্যবহারটা বেশি হলেও পিতল ও দস্তা দিয়েও গহনা তৈরি করেন কারিগররা। প্রায় এ ইউনিয়নে তিন’শ গহনা তৈরি দোকান রয়েছে। তিন’শ কারিগরের পাশাপাশি কয়েক’শ শ্রমিক কাজ করতো এখানে। গহনা তৈরি করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ হতো। এমন অবস্থায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারের সাহায্য করেছেন তারা।
ভক্স পপ কারিগর ও একজন শ্রমিক।
কারিগররা অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে তৈরি করেন গলা, নাক, কান, পা, কোমর, মাথার বিভিন্ন ডিজাইনের গহনা। সোনার দোকানে যে সকল জিনিস থাকে তার যেন সবই রয়েছে ঘরগুলোতে। সামনে, পিছনে, দেয়ালে থরে থরে সাজানো মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের গহনা।
জানা যায় তাদের তৈরি গহনাগুলো পাইকারিদের কাছে বিক্রি করা ২০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। দাম ডিজাইন ও আকারের উপর নির্ভর করে।
এবিষয়ে ভাকুর্তা বাজারের স্বর্ণ, রৌপ্য ও ইমিটেশন ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি সরকারী ভাবে তাদেরকে সাহায্য সহযোগীতার আহবান জানান।
ভক্স পপ আনোয়ার হোসেন মোল্ল্যা ভাকুর্তা বাজারের স্বর্ণ, রৌপ্য ও ইমিটেশন ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি।