Header Image

করোনাকে জয় করলেন গৌরীপুরের কন্যা সেই ডাক্তার দম্পতি

করোনাকে বৃহস্পতিবার ৭ মে জয় কলেন ময়মনসিংহের সেই ডাক্তার দম্পতি। তারা হলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্ এন্ড গাইনি বিভাগের ডাঃ মুসফিকা সুলতানা শান্তা আর অপর হলেন হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ খায়রুল হাসান খান। সেবা দিতে গিয়ে এ দু’জন করোনা পজেটিভ হন ২০ এপ্রিল। এবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে করোনা নমুনা সংগ্রহের পর বৃহস্পতিবার রেজাল্ট আসে করোনা নেগেটিভ।
ডাঃ মুসফিকা সুলতানা শান্তা জানান, আল্লাহ’র নিকট শুকরিয়া সুস্থ রেখেছেন। এই দুর্যোগকালীন মুর্হূতে পরিবার ও চারপাশের মানুষের সার্পোট বড় মেডিসিন হিসাবে কাজ করে। আক্রান্ত হলে পরিবার, সমাজ বা চারপাশের মানুষের অবজ্ঞা বা দূরে ঠেলে দিবেন না। তিনি আরো বলেন, ওষুধ, পরিবারের সার্পোট আর চারপাশের মানুষ সঙ্গে থাকলে করোনা জয় সম্ভব!
অবশ্য এবার সেই ডাক্তার দম্পত্তি সাহসী কথার সঙ্গে আবারও বললেন আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা সেবায়ও ফিরে যাবো। করোনা যুদ্ধে ডাক্তার ঘরে বসে থাকতে পারে না। কর্তৃপক্ষের আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হবো। এ যুদ্ধে পরাজিত হবে না; কোন ডাক্তার! যুদ্ধাটা আমাদের, আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো। যতক্ষণ এ দেহে আছে প্রাণ। ঠিক এভাবেই ডাঃ মুসফিকা সুলতানা শান্তা নিজের পরবর্তী জীবনযুদ্ধের বর্ণনা তুলে ধরেন।
করোনাযুদ্ধের বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি জানান, তার ৪বছরের কন্যা নুসাইবাহ। ওর মা-বাবা করোনা আক্রান্ত। মেয়েটার কাছ থেকে কতদিন দূরে থাকতে হয়েছে। মেয়েটা তার নানুমনিকে জিজ্ঞাস করে, মা কখন অফিস থেকে আসবে? বারান্দায় দাঁড়ানো বিড়াল দেখে বলে, ওকি ওর মার কাছে যাচ্ছে? এসব শোনতে কোন মায়েরই ভালো লাগে না। আবেগ-আপ্লেুত ভাষায় সেদিন লেখেন, কতদিন ধরে মেয়েটাকে জড়িয়ে ঘুমাতে পরি না, একটু হাত ধরতে পারি না, একটু আদর করতে পারি না, একটু চুমু খেতে পারি না.. এই কষ্ট প্রতিটা ডাক্তার মা আর বাবার। এটা সবচেয়ে বড় কষ্টের ছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!