কালিয়া (নড়াইল ) প্রতিনিধি :
নড়াইলের কালিয়ার বড়নাল পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করে ডেকে নিয়ে আ’লীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। কালিয়া উপজেলার বড়নাল পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করে ডেকে নিয়ে মল্লিক আবুল হাসান (৩৫) নামের এক আওয়ামীলীগ নেতাকে রাতভর আটকিয়ে রেখে পরদিন সকালে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত আবুল হাসান কালিয়া উপজেলা আওয়ালীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে আছেন বলে জানা গেছে । পুলিশের নির্যাতনের শিকার মল্লিক আবুল হাসান বর্তমানে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি চন্ডিনগর গ্রামের মৃত সরোয়ার মল্লিকের ছেলে।
মল্লিক আবুল হাসান বলেন, সোমবার (৪ মে) বিকালে আমার সাথে ইলিয়াছাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ মল্লিকের সাথে আমার বাড়িতে খড় শুখানো নিয়ে বাগবিতন্ডার সৃষ্ঠি হয়।পরে সন্ধ্যার সময় বড়নাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা ভারপাপ্ত কর্মকর্তা গফুর সাহেব আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করে আমাকে ফাঁড়িতে আসতে বলে ঘটনাটি মিমাংসা করার জন্য। আমি আমার সাথে আমার দুই ভাইকে নিয়ে ফাঁড়িতে যাই। সেখানে গেলে রাত ১০ টার দিকে হেফাজত খানায় আমাদের আটকিয়ে রাখে।ছেড়ে দিচ্ছি বলে না ছেড়ে রাত ভর আমাদের হেফাজত খানায় রেখে দেয়। কোনো মিমাংসা কথা হয়নি রাতে। পরদিন সকালে চেয়ারম্যান ফিরোজ মল্লিক পুলিশ ফাঁড়িতে এসে ফাঁড়ির ইনচার্জ গফুর ও এস,আই রিজাউল কে ডেকে নিয়ে ফাঁড়ির দোতলায় নিয়ে যায়।সেখানে তারা আলাপ শেষে এস,আই রেজাউল নিচে এসে বলতে থাকে আবুল হাসান কে? উওরে আমি আবুল হাসান বললে এস,আই রেজাউল আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে নেতা হয়েছো। তোর নেতা গিরি ছোটাচ্ছি বলে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায় আমি ফোড়ে লুটিয়ে পরলে আমাকে পুলিশের কাভার্ড ভ্যানে করে কালিয়া থানায় নিয়ে আসে।থানায় আশার পরে মারামারি না করার শর্তে মুচলেখা নিয়ে আমাদের ছেড়ে দেয়। আমার উপর এই অমানবিক নির্যাতন কারি এস,আই রিজাউলের উপযুক্ত বিচার দাবী করছি ।
মঙ্গলবার (৫মে ) থানা থেকে ছাড়া পেয়ে আওয়ামীলীগের উপজেলা সহ-দপ্তর সম্পাদক আবুল হাসান হাসপাতালে ভর্তি হন ।
আবুল হাসানের এক নিকট আতœীয় জানান, ফাাঁড়ির ইনচার্জ গফুর ও এস,আই রিজাউল চেয়ারম্যানের ফিরোজ মল্লিকের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আবুল হাসানের উপর বর্বর নির্য়াতন চালিয়েছে।
বড়নাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গফুরের ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , আবুল হাসানদের ফাঁড়িতে ফোনে ডেকে আনা হয় এটা সত্য। আমি জানতে পারি যে তারা এলাকায় গ্যানজাম করার জন্য ঘুড়ছে ।তবে কোনো নির্যাতন করা হয়নি বলে এড়িয়ে যান ।
অভিযুক্ত এস,আই রিজাউলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ।
এ বিষয়ে এএসপি (সার্কেল কালিয়া) রিপন চন্দ্র সরকার বলেন , আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা । আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম ।আমার কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি । আমি তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো ।
আওয়ামীলীগের নেতাকে পুলিশের নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামীগ ও অঙ্গ সহোযোগি সংগঠনের নেতাকর্মিরা সেই সাথে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিচার দাবী করেন ।