ইসমাইল হোসেন সোহাগঃ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সরকার কর্মহীন দিনমজুরদের বাঁচানোর জন্য নিজে প্রতিটি গ্রামগঞ্জের বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ সমাগ্রী পাঠাচ্ছেন এবং অসহায় হতদরিদ্ররা ত্রাণ পাচ্ছেন কিনা তদারকিতে রয়েছে প্রশাসন। ঠিক সেই সময় বান্দরবনের লামা উপজেলার ৫নং সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলমের নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। তৎমধ্যে স্বজনপ্রীতি,অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে সাধারন গরীব অসহায় কর্মহীন লকডাউনে ঘর বন্দি মানুষ’রা সরকারি চাল এখনও তাদের কপালে জুটেনি।অসহায় খেটে খাওয়া দিনমজুর, ভ্যান চালক সহ এলাকার অসহায় সাধারন মানুষের ত্রানের তালিকা করে তাদের সাথে নয়ছয়,
স্বজনপ্রীতি করার অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মহামারি ভয়ংকর নভেল করোনা ভাইরাসে একজন মানুষও যেন না খেয়ে না থাকে। এই জন্যই দিনমজুর, অসহায়, দুস্থ, প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার নারীদের মধ্যে ত্রানের চাল ১০ কেজি করে বিতারনের জন্য বরাদ্দ দেয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদেরকে। কিন্তুু সেই চাল সঠিক ভাবে বিতারন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকার সাধারন জনগণ।
বর্তমানে মহামারি নোভেল করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের অফিস-আদালত দোকান পাটসহ অঘোষিত চলছে লকডাউন। ঠিক সেই মুহুর্তে সরই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ত্রানের চাল প্রতিবন্ধী অসহায় নুরুন্নাহার বেগমের তালিকা করার পরেও তার কপালে আজও সরকারি ত্রাণ জোটেনি। শুধু নুরুন্নাহার নয়, তার মত অনেকে সরকারি ত্রানের চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ইউনিয়নের হাবিবুর রহমান এলাকার মুহাম্মদ মহি উদ্দীন, ফুজিলা, ত্রিপুরা, বাবুল, নাছিমা আক্তার, নুরুন্নাহার বেগম, মুহাম্মদ ইসমাইল, হাবিবুর রহমান, জালাল, আব্দুর রহিম, ইসলাম বানু, সাইফুল ইসলাম, জরিনা বেগম, আব্দুর শুক্কুর, আনোয়ারা বেগম, আবুল কাসেম, নুরুল হুদা, বুলু আক্তার সহ হতদরিদ্রদের অনেকের একই চিত্র পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ৫নং সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলমের কাছথেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিধি মেনে সরকারি ত্রানের তালিকা করা হয়েছে। ৩নং ওয়ার্ডের অনিয়মের অভিযোগে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো অনিয়ম করিনি। আর আমি একাতো তালিকা তৈরী করিনি এতে সব ওয়ার্ডের মেম্বারেরা রয়েছে। তা সব কিছুর বিষয়ে সচিব মুসা অবগত আছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ০৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কালা মিয়া বলেন, চেয়ারম্যন যদি চাল বিতরণে অনিয়ম দূর্নিতি করে আমাদের কি করা আছে। আমি ১০০ জনের বরাদ্ধ পেয়েছি। তা আমি এলাকার দলীয় নেতা কর্মীদেরকে নিয়ে তালিকা করেছি এবং সে গুলো ইউনিয়ন পরিষদে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর কি হয়েছে তা আমি জানি না।
এদিকে ৩নং ওয়ার্ডের ভোত্তভুগী ও ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, প্রতিবন্ধী নুরুন্নাহার বেগম, নাছিমা আক্তার উক্ত প্রতিবেদককে বলেন,আমরা এই এলাকার সাধারন কেটে খাওয়া মানুষ। তাই এমন সময়ে আমাদের কাছথেকে চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম ও সচিব মুহাম্মদ মুসা ১০০জনের জাতীয় পরিচয় পত্র নেওয়ার পর এবং সরকারের পক্ষ থেকে যে দুর্যোগ ত্রাণ পূনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকা করার চেয়ারম্যানদের কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ঠিক সে তালিকা/ফরম গুলো পুরাণ করার পরেও এই ওয়ার্ডে অনেক জনের ত্রানের চাল এখনও কপালে জুটেনি। ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে যদি পেয়ে থাকে তাহলে আমরা কেন পাবো না,,? যদি বাদ দিতে হয় তবে সব ওয়ার্ড থেকে বাদ দিতে হবে। শুধু আমাদের ওয়ার্ড থেকে কেন বাদ যাবে,,? আমাদের কি অপরাধ ছিলো,,? আমরা বর্তমান সরকারের কাছথেকে সুস্থ বিচার চাই। তারা হলেন, সহ আরও অনেকেই।
এ ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে-এ জন্নাত রুমির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
যদি তালিকা পূরণে করতে গিয়ে ভুল হয় তাহলে বাদ যেতে পারে। তবুও আমরা এগুলো নিয়ে সংশোধন করার জন্য চেষ্টা করতেছি। আর সরকারি ত্রান নিয়ে কেও অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।