লালমনিরহাট জেলাধীন হাতীবান্ধায় পৃথক দুটি ধর্ষণের এঘটনায়
রোববার সকালে থানা পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
এর আগে,গত শনিবার ৯ মে বিকেলে উপজেলার কাউন্সিল পাড়া এবং ফকিরপাড়া এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায় ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আলমগীর হোসেন (২৩) নামে এক ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষক আলমগীর হোসেন উপজেলার কাউন্সিল পাড়া এলাকার বাসিন্দা। সে পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রী। শিশুটিও একই এলাকায় তার নানা বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করছেন বলে ধারণা পাওয়া যায়।
ভূক্তভোগী শিশুটির পরিবারের লোকজন জানান, ধর্ষক আলমগীর হোসেন শনিবার বিকেলের দিকে শিশুটিকে ডেকে শাহ গরীবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে নিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় সে কান্নাকাটি করলে ধর্ষক তার হাতে ৬০ টাকা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে, সে বাড়িতে গিয়ে তার নানীকে বিষয়টি খুলে বলে।
শিশুটির নানী বলেন, বিকেল বেলা সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসে। প্রশ্ন করলে সে বিস্তারিত জানায়। পরে, তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আল মামুন বলেন, শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাবে না। তবে শিশুটি ও তাঁর অবিভাবকের জবানবন্দি শুনে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আলামত পরীক্ষা করার জন্য শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে, একইদিন উপজেলার ফকিরপাড়া এলাকায় ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ওই এলাকার প্রতিবেশী লম্পট লোকমান আলী ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে পাশের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ লোকমানকে আটক করে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
হাতীবান্ধা থানার পরিদর্শক (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, খবর পেয়ে আলমগীর ও লোকমানকে আটক করা হয়েছে।
আজ সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে সোপর্দ করা হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন ওসি। তবে এমন এঘটনায় এলাকার মানুষ ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়ে অপরাধীর দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবি করেছেন।