প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ৬, ২০২৪, ১১:৩৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১২, ২০২০, ১:১৫ অপরাহ্ণ
গৌরীপুরে সরকারী বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ৫১ নং ডাউকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতবর্ষী লক্ষাধিক টাকা মুল্যের বিভিন্ন গাছ রয়েছে। সারা দেশে করোনায় বন্ধ হয়ে যায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত ১লা মে শুক্রবার কাউকে না জানিয়ে ধামগাও গ্রামের আব্দুল মজিলের পুত্র মাজেদুলের বিরুদ্ধে ডাউকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পতিতে থাকা গাছের রড় বড় ডাল পালা কাটা ও স্কুলের জায়গা দখল করে মাছ চাষ করায় স্থানীয়রা অভিযোগ দায়ের করেছে গত ১১ই মে গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় হঠাৎ কাউকে না জানিয়েই গাছের বড় বড় ডাল পালা কেটে নেওয়ার সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে গাছের ডাল পালার কিছু অংশ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রেখে চলে যায় আর কিছু ডালপালা মাজেদুল নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়।স্থানীয়রা জানায় গাছের বড় বড় ডালপালা কাটায় হুমকির মুখে পড়েছে গাছ গুলি এবং সুষ্ট তদন্ত করে দোষীদের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় তারা। সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক একেএম ফারুখ আহম্মদের কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান গাছের ডাল কাটার বিষয়টি স্কুলের দপ্তরী কাম প্রহরী শহীদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আমাকে জানিয়েছে আমি সাথে সাথে রামগোপালপুর ক্লাষ্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোজাহিদুল ইসলাম স্যারকে অবহিত করেছি পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির লোকজন নিয়ে একটি রেজুলেশন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাজেদুলের মোবাইল ফোনে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান স্কুল কমিটির অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হচ্ছে, সরকারী গাছ কাটার বিধান কি আপনার জানা আছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি মোবাইল ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি আবুল হোসেন জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ফরিদ উদ্দিন সাহেব এ টিও মোজাহিদ স্যারের সাথে আলাপ আলোচনা করেই গাছের ডাল কাটা হয়েছে। কাটার পরে রেজুলেশন করা হয়েছে কাটার আগে হয়নি। পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ জানান স্কুল কিমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল কমিটির সবাইকে নিয়ে গাছ কাটার কিন্তু পরে মাজেদুল কাউকে না জানিয়ে সে একাই গাছের ডালপালা কেটে ফেলছে।গাছ কাটার পরে এলাকায় জানাজানি হলে পরে স্কুল কমিটির লোকজন একটি রেজুলেশন তৈরি করে। অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোন জানতে মন্তব্য জানতে চাইলে রামগোপালপুর ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোজাহিদুল ইসলাম জানান চেয়ারম্যান মেম্বারদের তালিকা যাচাই বাচাই নিয়ে ব্যস্ত আছি পরে কথা বলব।
Copyright © 2024 SF Television. All rights reserved.