Header Image

ময়মনসিংহে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রচারে থেমে নেই জেলা তথ্য অফিস।

 

আরিফ রববানীঃ

করোনা পরিস্থিতিতে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে থেমে নেই ময়মনসিংহ তথ্য অফিস। জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে নিরলস পথ প্রচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার আল ফয়সালের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাট বাজার এলাকা থেকে এ পথ প্রচার শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার সকল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাসহ বিভিন্ন স্থানে ইতিপুর্বে এ পর্যন্ত চারবার প্রচার অভিযান চালানো হয়েছে। পঞ্চমধাপে প্রচার অভিযান চলছে। তবে কিছু কিছু উপজেলা এ পর্যন্ত পাচঁ বার প্রচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে বলা হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাস দ্রুত ছরিয়ে পড়ছে, এই পরিস্থিতিতে আতংকিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্ভন করুন। নিজেকে পরিবারের সদস্যদের এবং এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে নিজ নিজ ঘরে থাকুন। মনে রাখতে হবে করোনা ভাইরাসে যে কোন মানুষ আক্রান্ত হতে পারে কাজেই বাড়িতে থাকুন নিরাপদে থাকুন। একান্ত জরুরী প্রয়োজন, যেমন ঔষধ ও অত্যাবশ্যকিও জিনিসপত্র কিনতে বাহিরে বের হলে অবশ্যই একে অপরের মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দুরত্ব বজায় রাখুন।প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হওয়া মাত্রই দ্রুত বাড়িতে ফিরে যান অযথা বাহিরে ঘোরাঘুরি করবেন না। বিশেষ করে সন্ধ্যা ৬ থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত বাহিরে কেহ বের হবেন না। যদি কারো জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাহলে ৩৩৩ অথবা ১৬২৬৩ অথবা ১০৬৫৫ নাম্বারে ফোন করে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানানোসহ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।

প্রচারের ধারাবাহিকতায় ১২ মে মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলা তথ্য অফিসের পক্ষ থেকে জেলার ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা, ধোবাউড়া, পোড়াকান্দুলিয়া, গোয়াতলা, ঘোষগাঁও এবং বাঘবেড় ইউপিসমূহে ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে জনসচেতনতামূলক বার্তার মাধ্যমে পথ/মাইকিং প্রচার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।একই সাথে ভিডিও সহ স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রচারকালে আরও বলা হয়েছে করোনা ভাইরাসে যে কোন মানুষই আক্রান্ত হতে পারে। আপনি বা আমিও হতে পারি তাদের একজন। করোনা ভাইরাসে কেহ আক্রান্ত হলে অথবা মারা গেলে তা অভিশাপ, পাপের ফল বা দূর্ভাগ্য মনে করার কোন কারণ নেই। আক্রান্ত বা মৃত ব্যক্তি আমাদেরই স্বজন, সহৃদ ও শুভাকাঙ্খী। তারা আমার, আপনার ভাই-বোন, মা-বাবা, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী, সহকর্মী বা কাছের কেউ। অতএব আসুন আমরা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হই এবং মানবিক আচরণ করি। এটি আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব।জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার আল ফয়সাল জানান-ত্রিশাল, নান্দাইল,হালুয়াঘাট,
ধোবাউরা,মুক্তাগাছা উপজেলায় আমরা সবচেয়ে প্রচার কার্যক্রম চালিয়েছি। এ পর্যন্ত অন্যান্য উপজেলা ৫বারের মত প্রচার অব্যাহত থাকলেও ধোবাউরা, হালুয়াঘাটে ছয়বার প্রচারণা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের এই প্রচারণামোলক অভিযান জনস্বার্থে প্রতিদিন সকাল থেকে আগেরমতই নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!