মোঃআল-আমিন টঙ্গী, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
বেতন, ছুটি ও ঈদ বোনাসের দাবিতে টঙ্গীতে সড়ক অবরোধ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। টঙ্গী বিসিকের দুটি রফতানিমুখী পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পেট্রিয়টিক ইকো লিমিটেড ও রেডিসন গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকরা প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে কাজ করতে এসে কারখানা বন্ধ পেয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা বিসেকের প্রধান সড়ক বন্ধ করে অবস্থান রাস্থায় অবস্থান নেয়।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরাও একই দাবিতে তাদের সাথে যোগ দেয়। এরপর সব শ্রমিক টঙ্গী বিসিক ও শিল্প এলাকার অন্যান্য পোশাক কারখানায় গিয়ে উৎপাদন বন্ধ করে শ্রমিকদেরকে বের করে নিয়ে আসে। এভাবে সকাল ৯টা নাগাদ শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও টঙ্গী-কালীগঞ্জ-নরসিংদী সড়কের সংযোগস্থল স্টেশন রোড মোড়ে এসে অবস্থান নেয়। বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকেরা এ সময় রাস্তা অবরোধ দিয়ে বিক্ষোভ করে।
এক পর্যায়ে তারা চড়াও হয়ে একটি কাভার্টভ্যানে অগ্নিসংযোগ করে।এতে কাভার্টভ্যানের সামনের অংশ পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যায়।খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ারসার্ভিসের ২টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।এসময় আতংক ছড়িয়ে পড়ে টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও টঙ্গী-কালীগঞ্জ-নরসিংদী সড়কের উভয়পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বিক্ষোভের উৎপত্তিস্থল টঙ্গী বিসিকের পেট্রিয়টিক ইকো লিমিটেড ও রেডিসন গার্মেন্ট কারখানার এলাকার নিরাপত্তায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আমিনুল ইসলাম।
টঙ্গী বিসিকের পেট্রিয়টিক ইকো লিমিটেড ও রেডিসন গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকরা জানান, কারখানা কতৃপক্ষ শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করেই বুধবার রাতে কারখানায় বন্ধের নোটিশ টানিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তারা যথারীতি কাজে যোগদান করতে এসে কারখানার গেটে তালা ও বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। এ সময় কারখানা দুটিতে নিরাপত্তা প্রহরী ছাড়া আর কাউকে তারা পাননি। কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তারা দায়িত্বশীলদের মোবাইল ফোন বন্ধ পান বলে অভিযোগ করেন। এ অবস্থায় তারা উপায়ন্তর না পেয়ে দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমে এসেছেন।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টায় টঙ্গী শিল্প পুলিশের পরিদর্শক রাজ্জাকুল হায়দারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। শ্রমিকরা খুবই উশৃঙ্খল আচরণ করছেন। এমনকি সাংবাদিকসহ কেউ ছবি তুলতে চাইলে মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা কেড়ে নিচ্ছেন।