আরিফ রববানীঃ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শাইলধরা বাজারের খাস জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের সংঘর্ষে শহীদ মিয়া (৫০) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হওয়াসহ উভয় পক্ষের প্রায় ১০জন আহত হয়েছে। ১৪ই মে বৃহস্পতিবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে। নিহত শহীদ মিয়া গাংগাইল ইউনিয়নের উন্দাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকী ও নান্দাইল মডেল থানার ওসি তদন্ত আবুল হাসেম সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। এসময় ঘটনাস্থল এলাকা থেকে অনেকগুলো টেটা, বল্লম ও রামদা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন এবং আঃ মন্নান, হারুন মিয়া, কার্জন, সোহেল, লিটন ও শাহজাহান নাম সহ উভয় পক্ষের ৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। বর্তমানে উক্ত বাজারে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সরজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন পূর্বে শাইলধরা বাজারের খাস জায়গায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান ও তার গ্রুপ জোরপূর্বক দোকান ঘর উঠালে একই ইউনিয়নের উন্দাইল গ্রামের মোঃ আব্দুল হাকিম ও তার লোকজন প্রশাসনের সহযোগিতায় তা উচ্ছেদ করে। এরই জের হিসাবে আব্দুল মান্নানের গ্রুপ ও আব্দুল হাকিমের লোকজনের সাথে বিভিন্ন সময়ে উপুর্যপরি বাকবিতকন্ডার সৃষ্টি করে।
বুধবার সন্ধ্যায় ইচ্ছাকৃত ফের বাকবিতকন্ডা সহ মারামারির সৃষ্টি করলে আব্দুল হাকিম তার লোকজনকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। এতে করে আব্দুল মান্নান ও তার গ্রুপের সদস্য উত্তর বানাইল গ্রামের শরীফ মিয়া, সাইফুল ইসলাম, সবুজ মিয়া, দোলোয়ার হোসেন দুলু, ওবায়দুল হক, হারুন মিয়া, কার্জন, সোহেল, আবুল কাশেম, আবুল বাশার, এমদাদুল হক, খালেক গংরা আব্দুল হাকিম গ্রুপকে বাজারের উঠতে নির্দেশ প্রদান করে।
বৃহস্পতিবার আব্দুল হাকিম ও তার লোকজন বাজারের ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গেলে ফের বাকবিতকন্ডার সৃষ্টি করে আব্দুল মান্নান ও তার দলবল। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির সৃষ্টি হলে নিরীহ শহীদ মিয়ার পেটে লাথি ও অন্ডকোষে পাথরের আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় একই গ্রামের আঃ হেলিম, জুবায়ের, আজিজুল হক ও শামীম মিয়া সহ উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়েছে
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর আহম্মেদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় আব্দুল হাকিম জানান, উক্ত ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে মার্ডার মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।