
মোঃ আরিফ রববানীঃ
ময়মনসিংহে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিজের আনন্দ উল্লাসকে বিসর্জন দিয়ে তিল তিল করে সাইকেল ক্রয়ের জমানো টাকা ময়মনসিংহ সিটি কথা করোনা ফান্ডে জমা দিয়ে বিত্তবানদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দুই শিশু দেখিয়ে দিয়েছেন মানবতার জন্য মন থাকতে হয়।
করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন শ্রমজীবী প্রত্যেকটি মানুষের জন্য মেয়র টিটু‘র কাজ করার উৎসাহ আর উদ্দীপনায় উদ্বীপ্ত সরকার তথা প্রশাসন সহ সমাজের সম্পদশালী মানুষ। মেয়র টিটু কর্মদক্ষতায় অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে সিটি কর্পোরেশনের করোনা ফান্ডে সরকারী বেসরকারী সহ ধনী মানুষেরা অর্থ জমা দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে কাজ করতে সহায়তা করে চলছেন।
এমনি এক পর্যায়ে মহানুভবতা ও ভালবাসা দিয়ে শিশুদের মনও জাগিয়ে তুলেছেন মেয়র টিটু। নগরীর ২টি শিশু তাদের জমানো টাকা মেয়রের কাছে তুলে দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে ময়মনসিংহে নতুন নজির সৃষ্টি করেছেন। মেয়র টিটু শিশুদের এই অনুদানকে উৎসাহিত করতে তাঁর ফেইজবুক পেইজে লিখেন, শিশুর মনে জেগে উঠে হাজারো স্বপ্ন, হাজারো শিশুর মধ্যে নিলয় সরকার তার স্বপ্ন পূরণে বিগত কয়েক বছর থেকেই স্বল্প বেতনভোগী পিতা ও পরিবারের সহযোগিতায় কিছু সঞ্চয় গড়ে তোলে, স্বপ্ন প্রায় চূড়ান্ত ধাপে, আর কদিন বাদেই তার সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে বাবার হাত ধরে কিনবে একটি নতুন সাইকেল, ঠিক তেমনি আরেকজন সাদমান হোসেন তার পিতাও একজন স্বল্পআয়ের সাধারণ মানুষ, সাদমান এর স্বপ্ন ছিল জমানো টাকা দিয়ে ঈদে তার বড় ভাইয়ের হাত ধরে নতুন জামা, জুতো, পোশাক কিনবে।
এদিকে প্রকৃতি ভয়াল করোনা ভাইরাস এর মাধ্যমে সবকিছু দুমড়ে-মুচড়ে, এক নতুন পরীক্ষা তুলে ধরেছেন বিশ্ব মানব জাতির কাছে, সারা বিশ্বের এই বিধ্বস্ত পরিস্থিতির মধ্যে আমরাও ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছি, একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছি, সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি, আবার অনেকের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে দিনগুলো পাড়ি দিচ্ছি, কিন্তু আজকে যে শিশু দুটির কথা উল্লেখ করলাম তারা তাদের স্বপ্ন পূরণে সঞ্চিত অর্থগুলো, মানবতার ডাকে স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে, চোখের কোনে সঞ্চিত জল দিয়ে বুঝিয়ে দিল আমরা শিশু হলেও মানবতার ডাকে স্বপ্নকেও প্রত্যাখ্যান করতে পারি। ধন্যবাদ নিলয় ও সাদমান কে, তোমাদের প্রতি অফুরন্ত দোয়া ও ভালোবাসা রইল।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শিশুদের এই মানবিকতা ময়মনসিংহ আরেক ইতিহাস তৈরী হয়েছে বলে মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর গণ্যমান্যরা।