স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের উদ্যোগে ত্রিশাল পৌরসভার আব্দুল খালেক জামে মসজিদের সামনে দেড় শতাধিক অসহায়, দুস্থ, বেকার ও শ্রমজীবি মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের পে এই সব খাদ্য সহায়তা বিতরণ কাজ উদ্বোধন করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি শাহ কামাল আকন্দ।
এ সময় ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারি ছুটিতে সারাদেশের মত ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন কর্মহীন হয়ে নতুন করে বেকার হয়ে পড়ে। এছাড়া দোকানপাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন, সেলুনসহ সকল কর্মমুখি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় বেকার হওয়ার সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ সব বেকার ও অসহায়দের পাশে সরকার প্রতিনিয়ত খাদ্য সহায়তা বিতরণ করে আসছে। সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তার পাশপাশি ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অসহায়, বেকার, দুস্থ, কর্মহীন মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে। জেলা পুলিশ নিজস্ব অর্থায়নে এই সব খাদ্য সহায়তা বিতরণ করে আসছে। ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয় বলে ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান। এছাড়াও বিভাগীয় নগরীতে ভাসমান ছিন্নমূল মানুষদেরকে রাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে টানা দশদিন রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
বিভাগীয় শহর ছাড়াও জেলা পুলিশ বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অসহায়দের খাদ্য বিতরণ করে আসছে। এরই অংশ হিসাবে শনিবার ত্রিশাল পৌরসভার আব্দুল খালেক জামে মসজিদের সামনে দেড় শতাধিক অসহায়, বেকার, দুস্থ, কর্মহীন মানুষদের খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন। ওসি শাহ কামাল আকন্দ আরো জানান, আসছে ঈদুল ফিতরে জেলা পুলিশের কেনাকাটায় অর্থ সাশ্রয় করে এই খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
এ সময় ময়মনসিংহ সংবাদপত্র শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ টেলিভিশন রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ফারুক, মেডিকেল শিার্থী ফাউজিয়া ফারাহ নিসা সহ জেলা পুলিশের অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে খাদ্য সহায়তা বিতরণশেষে আ ন ম ফারুক খাদ্য সহায়তা নিতে আসা দুই শতাধিত শিশু কিশোরদের মাঝে ঘুড়ি বিতরণ করেন। এ সম্পর্কে আ নম ফারুক বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে অঘোষিত লকডাউনে শিশু কিশোররা যাতে ঘুড়ি উড়ানোর মধ্য দিয়ে স্বাচ্ছন্দে নিজ এলাকায় অবস্থান করে সেই ল্য নিয়েই তিনি ঘুড়ি বিতরণ করেন।