মোঃআল-আমিন, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের টঙ্গীতে হাসপাতালের এক নার্সকে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর প্রতিবাদে সকল ডাক্তার ও নার্স কর্মবিরতি পালন করেছে। রোববার দুপুরে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে হাসপাতালে আসা শত শত রোগীদের চিকিৎসা সেবা না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, হাসপাতালের আউট সোর্সিং-এর কর্মচারী তোহিদুল ইসলাম হৃদয় শনিবার বহিরাগত কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করে। তারা হাসপাতালে নার্সদের রুমে গিয়ে তাদের নির্দেশমতো হাসপাতালে কাজ করার জন্য বলে। এতে সিনিয়র নার্স মশিউর রহমান প্রতিবাদ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে গায়ে হাত তোলর এবং এক পর্যায়ে গুলি করে মারার হুমকি দেয় হৃদয়।
পরে মশিউর রহমান জীবনের নীরাপক্তা চেয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ হাসপাতালে কর্ম বিরতি পালন করে হাসপাতালটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা সরকারি কর্মচারী হয়েও একজন আউট সোর্সিং কর্মচারীর কাছে প্রায় সময় লাঞ্চিত হই। হ্নদয়কে হাসপাতাল থেকে বিদায় না করা পর্যন্ত আমাদের কর্ম বিরতি অব্যাহত থাকবে।
অপর এক নার্স সালমা আক্তার জানান, গত ৫ মে আমাকে হাসপাতালের একটি কক্ষে আটকে রেখে ৬ লাখ টাকা দাবি করে হ্নদয়। টাকা না দিলে আপত্তিকর ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করবে বলে আমার পরিবারকে জানায়। পরে আমার পরিবার পুলিশে খবর দিলে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানায়,ওয়ার্ড বয় হয়েও হৃদয় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের পিছে ঘুরে বেড়ায়।বেশিরভাগ সময় কাটে স্থানীয় নেতা /কর্মীদের সাথে। হাসপাতালে প্রতিদিন বহিরাগতদের নিয়ে আড্ডা জমায়।নার্সদের অনুমতি ছাড়াই তাদের রুমে ঢুকে পরে। হাসপাতালে তার আধিপত্য ওপেন সিক্রেট।সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ঢুকলেই তার দৌরাত্ম বোঝা যায়।বিভিন্ন নেতার সাথে ছবি তুলে তা প্রকাশ করে।
বিভিন্ন সময় মহিলা নার্সদের ধমক দিয়ে কাজ করায় হৃদয়।কিন্তু কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না।
হাসপাতালের আউট সোর্সিং-এর কর্মচারী অভিযুক্ত তোহিদুল ইসলাম হৃদয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
হাসপাতালটির তত্বাবধায়ক (উপপরিচালক) ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, পূর্বের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে আজ একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।