
মোঃআল-আমিন ,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
বর্তমান সংকটে ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে এক নম্বরে ধরা হচ্ছে ডাক্তারদেরকে।পুরুষ ডাক্তারদের পাশাপাশি পিছিয়ে নেই নারী ডাক্তাররা।পরিবার পরিজনকে দূরে রেখে কাজ করে যাচ্ছেন দিন /রাত।
ডাক্তার সাঈদা তানজিনা ইভা কর্মরত রয়েছেন গাজীপুরের টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের সহকারী সার্জন হিসেবে।করোনার শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন দিন/রাত।পরিবারের নীরাপক্তার বিষয় মাথায় রেখে সন্তান/পরিবারকে আলাদা রেখে থাকছেন একা ঘরে।পেশাগত দায়ীত্ব পালনে অটুট রয়েছেন এই নারী ডাক্তার।
পুরুষ ডাক্তারদের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। রোগীদের দেখছেন খুব কাছ থেকে।ভয়কে জয় করর সেবা করে যাচ্ছেন রোগীদের।
ডাক্তার তানজিনা বলেন,করোনার প্রথমদিকে পিপিই ছাড়াই রিক্স নিয়ে কাজ করেছি।আমরা ডাক্তার, সবার মত আমাদেরও পরিবার আছে।।পরিবারের নীরাপক্তার বিষয় মাথায় রেখে একা রুমে থেকেছি।আদরের সন্তাদের দূর থেকে দেখেছি।বাসার কাজে বাচ্চার বাবা অনেক সহযোগিতা করেছে।পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি।অনেকে বলেছে তুমি মেয়ে মানুষ জীবন বাঁচলে চাকুরী করতে পারবা বাইরে যেওনা।কিন্তু মন থেকে সায় দিতো না।সাধারনে মানুষের কথা চিন্তা করে ছুঁটে আসি কর্মস্থলে।দেশ প্রেম ও দেশের মানুষের প্রতি দায়ীত্ববোধ থেকেই ঘরে বসে থাকতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, শত কষ্টের মাঝেও মানুষের সেবা করে আনন্দ পাই।আমার মাধ্যমে কেউ যদি সুস্থ হয়ে যায় এর চেয়ে আনন্দের আর কি আছে। বর্তমানে কর্মস্থলের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও তিনি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যেটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে।ঘরে বসে থেকেও তিনি সার্বক্ষণিক তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বর খোলা রাখছেন।যে কেউ ফোন দিয়ে যেকোন সময় সেবা নিতে পারছেন। কোমল মনের অধিকারী এই ডাক্তার রোগী দেখতে কোন বিরক্তিতা বোধ করেন না। যত রাতই হোক ফোনের মাধ্যমে তিনি সেবা কাজ চালিয়ে যান।করোনা সংকট যতদিন থাকবে তার এমন ভিন্নধর্মী সেবা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।
তার থেকে চিকিৎসা পাওয়া রেজাউল করিম নামের জানান,তানজিনা আপা খুবই অসাধারণ মানুষ।সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ওনার ভালো ব্যবহার ও চিকিৎসা পেয়েছি।পাশাপাশি তিনি তার মোবাইল নাম্বার দিয়ে দিচ্ছেন। এজন্য আমরা যাতায়াত না করেও বাসায় বসে ভালো চিকিৎসা নিতে পারছি।
এগিয়ে যাক তানজিনার মত ডাক্তার এমনটিই আশা করেন সাধারন মানুষ।