Header Image

ময়মনসিংহে শিশুদের ঈদের জামা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পুলিশ।

 

আরিফ রববানীঃ

ময়মনসিংহের একজন মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান। তিনি সব সময় মানবসেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। ময়মনসিংহবাসীর কাছে তার মানবিকতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে এমনটাই আলোচনা চলছে জেলা ব্যাপী। তবে তার স্ত্রী কানিজ আহমারও মানবসেবায় পিছিয়ে নেই। যেমন স্বামী তেমন স্ত্রী। স্বামীর পাশাপাশি সুযোগ্য স্ত্রী হিসেবে করোনাযুদ্ধকালীন একাধিকবার রান্না করা খাবার, শীতবস্ত্র গরীব অসহায়দের মাঝে বিতরণ করে ময়মনসিংহে নিজের পরিচিয় তুলে ধরেছেন পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের স্ত্রী ও ময়মনসিংহ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী কানিজ আহমার। পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) ময়মনসিংহের সভানেত্রী কানিজ আহমার ভাসমান পথ শিশুদের মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নতুন জামা কাপড় বিতরণ করে আলোচনায় এসেছেন। তিনি শিশুদের মাঝে ঈদের জামা বিতরণ করে প্রমান করে দিয়েছেন ঈদ ছোট-বড় সকলের জন্যই আনন্দের উৎসব।

বুধবার ময়মনসিংহ নগরীর মিন্টু কলেজ সংলগ্ন বস্তি, রেলওয়ে বস্তিসহ বিভিন্নস্থানে ঘুরে ঘুরে এই সব শিশু কিশোরদের নতুন জামা কাপড় পড়িয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ এ নতুন জামা কাপড় বিতরণ করেছেন। এই সব পথ শিশুরা ঈদের আগে নতুন, ভাল এবং উন্নতমানের জামা কাপড় পেয়ে খুশিতে আর মহানন্দে আত্বহারা। করোনার মহামারি চলছে সারাবিশ্বে। বাংলাদেশ কোনভাবেই পিছিয়ে নেই।

এই মহামারিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। নতুন করে বেকার হয়েছে অসংখ্য মানুষ। কর্মহীনদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে এই পরিস্থিতি চলতে থাকায় মানুষজন অজানা আতংকের পাশাপাশি দিন দিন ক্রমেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছেন, আপনারা ঘরে অবস্থান করুন। নিজে, পরিবার, সমাজ ও দেশকে বাচান। খাবারের জন্য একজন মানুষও মারা যাবেনা। অর্ধাহারে অনাহারে থাকা প্রতিটি মানুষের ঘরে খাবার পৌছে যাবে। জনপ্রতিটি, রাজনৈতিককর্মী, ও প্রশাসন ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় ময়মনসিংহে রাজনৈতিক, সামাজিক, জনপ্রতিনিধিদের সাথে অসহায়দের পাশে
দাড়িয়েছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। প্রায় দুই মাস ধরে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের নির্দেশে জেলা পুলিশ খুজে বেড়াচ্ছে সমাজের নিম্নবিত্ত, শ্রমজীবি কর্মহীন, বেকার হয়ে পড়া, দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের। তাদেরকে পর্যায়ক্রমে সহায়তা করে আসছেন। জেলা পুলিশ নিজেদের অর্থায়নে সমাজের নিম্নবিত্ত, শ্রমজীবি কর্মহীন, বেকার হয়ে পড়া, দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের সহায়তা করে আসছেন। পুলিশ সুপার বস্তিবাসী, অসহায়, অস্বচ্ছল, দিন এনে দিন খাওয়া, কর্মহীন, শ্রমিক, বেদে পরিবার, নাপিত, নৌকা মাঝি, খুঁজে খুঁজে তালিকা করে তাদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা করে একজন মানবিক পুলিশ সুপার হিসাবে পরিচিতি অর্জন করে জেলা ব্যাপী প্রশংসার দাবিদার হয়ে উঠেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!