by SF News

কামরান হাবিব, রংপুর :
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলাধীন বুড়িমারীর ঢাকাস্থ পোশাক শ্রমিক মৌসুমীর
লাশ আনতে বাঁধা ও পুড়িয়ে দেওয়ার বানোয়াট তথ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রচারের প্রতিবাদে ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত ইউনিয়ন পরিষদে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, গত ২২ মে পোষাক শ্রমিক মৌসুমীর মা তার মেয়ের মৃত্যুর খবর আমাকে জানিয়ে বলেন, লাশ আনতে রংপুরে মেয়ের বাবা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মৌসুমী ঢাকা থেকে ট্রাকে করে পাটগ্রামে আসার পথে রাতে মারা যায়। আমি ট্রাক চালক ও মালিকের সাথে কথা বলে রংপুর তাজহাট থানাকে অবগত করতে বলি ও পাটগ্রাম থানার ওসিকে ঘটনাটি জানিয়ে ৯৯৯ ফোন করে সহযোগীতা চাই। এরই মধ্যে ট্রাকের চালক আজিজুল ও সহকারী বুড়িমারী এলাকায় মৌসুমীর করোনায় মৃত্যুর গুজব ছড়ায়। এ ধরনের গুজবে ট্রাক মালিক নান্নু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে মাইক্রো চালকের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মৌসুমীর বাবার সাথে কথা বলে লাশ নিয়ে আসতে বলি। মেয়ের স্বজনদের সাথে কথা বলে মেয়ের দাদার কবরের পাশে দাফনের ব্যবস্থা করি। পরে জানতে পারি মৌসুমীর বাবা গোলাম মোস্তফা লাশ না নিয়ে বুড়িমারী চলে এসেছেন।
অপরদিকে তাজহাট থানা পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে ওয়ারিশগনে উপস্থিতি না থাকায় লাশ কাউকে হস্তান্তর করতে পারেনি।
পরদিন ২৩ মে পুলিশ মৌসুমীর লাশ তার বাবার নিকট হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু ওইদিন দীর্ঘসময় অপেক্ষা ও যোগাযোগের চেষ্টা করে মৌসুমীর বাবা এবং মাইক্রো চালকের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ২৪ মে শুনতে পারি মৌসুমীর ভাসমান লাশ তিস্তা নদীতে পাওয়া গেছে।এবং লাশ আদিতমারী থানায় রয়েছে। এরই মধ্যে গণমাধ্যমের খবরে মৌসুমীর বাবা বলেন, আমি নাকী মৌসুমীর লাশ এলাকায় আনতে নিষেধ করি এবং আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাই। আমি এ ধরণের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা কখনোই বলিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের বহি:প্রকাশ । আমি মৌসুমীর বিদায়ী আত্নার মাগফিরাত কামনা করে তার পরিবারের সকলের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে মৌসুমী মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। সকলে মৌসুমী ও তার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।
Post Views:
১,০২৯