মো: ছাইফুুল ইসলাম তরফদার :
করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া ফুলবাড়ীয়া উপজেলায়
দুস্থ্য ও অসহায় মানুষের মাঝে দলীয় দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে খাদ্য সহায়তা বিতরনে
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মো: আখতারুল আলম
ফারুক (পিডিপি ফারুক) বিরুদ্ধে ঈদসামগ্রী, ত্রান বিতরণে মিথ্যা,
বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্যের গরমিল পাওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নানান
অভিযোগ করেন।
উপজেলা বিএনপির ত্যাগি একাধিক নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, উপজেলার
১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১০ হাজার অসহায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এতে করে বিএনপির
ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তিনি করোনা ভাইরাসের মহামারিতে বিএনপির
চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের
নাম ভাঙিয়ে বিএনপির সুনাম নষ্ট করছে।
বিএনপির নেতা আইয়ুব আলী বলেন, আমি ফারুকের প্রতিবেশী। সে বিএনপি
করে কবে থেকে। মহল্লাবাসী তার বাড়ীতে দাওয়াতো খেতে যায় না। সে আবার ১০
হাজার মানুষের মাঝে ত্রান দিয়ে। অথচ আমরা শুনলামও দেখলাম না।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আবুল ফজল বলেন,
শুধুমাত্র মিডিয়াকে দেখানোর জন্যে দায়সাড়াভাবে ফটোসেশন করেছে। এই
দু:সময়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করাটা উচিত হয়নি। অসংখ্য অনিয়মের ঘটনা
ঘটেছে।
যুবদলের সভাপতি কামরুজ্জামান মীর আজাদ বলেন, সব ইউনিয়নে দেয় নাই। তবে
৪০ জন পরিবারকে দিয়েছে কিনা সন্দেহ? এটা শুধুমাত্র ফুলবাড়ীয়ার বিএনপির
সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। তার সাথে কোন নেতা-কর্মী নেই। আছে কিনা
কয়েকজন নামধারী নেতা।
এ ব্যাপারে আখতারুল আলম ফারুকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার
যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে, তিনি করোনায় কর্মহীন, গৃহবন্দিদের মাঝে উপজেলার রাঙামাটিয়া,
নাওগাঁও. বাকতা ও পুটিজানা ইউনিয়নসহ পৌরসভায় ১০ হাজার অসহায় দিন
মজুর নিম্ন আয়ের ১০ হাজার পরিবারকে ফারুকের নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য
সামগ্রী বিতরণের নিউজ বিভিন্ন পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ১/১১ সময় ফখরুদ্দিন, মঈনউদ্দিন সরকারের আমলে
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল পিডিপি কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। ফুলবাড়ীয়া উপজেলার
আছিম বাজারের ধান মহলে পিডিপি’র কার্যালয় ছিল।