
আরিফ রববানীঃ
ময়মনসিংহের দাপুনিয়া ইউনিয়নে বাংলা ছিনেমার কাহিনীর মত বাল্যবিবাহ দিতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আগমনের সংবাদ পেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক এক মেয়েকে নকল পাত্রী সাজিয়ে মেয়ের বাবা পালিয়ে গিয়েও ময়মনসিংহ সদর সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড এম সাজ্জাদুল হাসানের চতুরতার কাছে অবশেষে ধরা খেলেন ১৩ বছরের পাত্রীর বাবা। উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নে ঘটিত এমন ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়েছে পাত্রীর বাবা।এ যেন এক সিনেমার কাহীনী। ৫ই জুন শুক্রবার বিকালে দাপুনিয়ার কাউয়ালটি গ্রামে এমন সিনেমাটিক কাহিনীর সম্মুখীন হন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) এম সাজ্জাদুল হাসান। তিনি বলেন- ৫ই জুন ময়মনসিংহ জেলার দাপুনিয়া ইউনিয়ন এর কাউয়ালটি গ্রাম থেকে সংবাদ আসে সেখানে বাল্যবিবাহ এর আয়োজন চলছে। পরে তিনি বিষয়টির সত্যতা যাচাই এর জন্য সদর ভূমি অফিসের স্টাফ ও জেলা পুলিশ এর সদস্যদের নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখেন- এক মেয়ে বউ সেজে বসে আছে, মেয়ের চেহারা দেখে বোঝা যায় তার বয়স ১৮ এর বেশি এবং প্রশাসন ও পুলিশের সকলেই মোটামুটিভাবে ধরে নেই যে সংবাদ মিথ্যা ছিল। কিন্তু আবার আমাদের সন্দেহ হয়, কারণ বয়স ১৮ এর বেশি হলে মেয়ের বাবা পালানোর কথা না। পরবর্তীতে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে এবং সোর্স এর তথ্য থেকে জানা যায় আসল কনে ও কনের বাবা আমাদের আসার খবর পেয়ে পালিয়েছে এবং আমরা যেন নকল কনে দেখে চলে যাওয়ার পর তারা নির্বিঘ্নে বাল্যবিবাহ করাতে পারে। আসল কনের বয়স ১৩। পরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসিল্যান্ড সদর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম সাজ্জাদুল হাসান আসল কনের বাবাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫০০০/- টাকা জরিমানা করেন বলে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড সদর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম সাজ্জাদুল হাসান।