
ইসমাাইল হোসেন সোহাগঃ
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সম্প্রতি মহামারি ভয়ংকর নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সার্জিক্যাল মাস্ক আমদানি করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম আমিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বলে দাবী করে উদ্দেশ্য ষড়যন্ত্র মূলক সংবাদ তুলে ধরা হয় কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে স্থানীয় দলীয় নেতা কর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যা আনীত অভিযোগ গুলো সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়। তৃনমূল থেকে হেটে হেটে পা করে উঠে আসা কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম সম্পর্কে না জেনে জনগণের মাঝে মিথ্যা তথ্য সাজানো সংবাদ প্রকাশ করা এক ধরণের অপরাধের সামিল।
আমিনুল ইসলাম আমিনের থাকা এক স্বত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স তার বন্ধুকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধার্যকৃত এক’শ টাকার স্ট্যাম্পে যথাযথ অঙ্গীকার নামা নিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আদৌ কখনো স্বাস্হ্য অধিদপ্তর বা ঔষধ প্রশাসনে যান নি। এমনকি কাউকে কখনো কাজের জন্য তদবির বাবদ ফোনও করেন নি। দেশে সাধারণত একজনের লাইসেন্সে অন্য জন ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যেহেতু বাধ্যবাধকতা ছিল না সেহেতু তার বন্ধুও সমস্ত দায়-দায়িত্ব নিয়ে লাইসেন্স ব্যবহার করেছেন।
১ম চুক্তিনামার পাতায় লেখা ছিল, আমিনুল ইসলাম আমিনের দীর্ঘদিনের বন্ধু মো: তাজুল ইসলাম তার সম্পূর্ণ বিবরণী তুলে ধরে অঙ্গীকার করেছিল যে, তিনি বিভিন্ন প্রকার ব্যবসার সহিত জড়িত ও অনেক বছর ধরে সুনামের সহিত ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসতেছে।
২য় চুক্তিনামার পাতায় লেখা ছিল,বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে ঔষধ প্রশাসনের ব্যবসায়িক কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য আমার ( তাজুল ইসলামের) পূর্ব পরিচিত বন্ধু আমিনুল ইসলাম আমিনের থাকা ব্যবসায়িক ফার্ম ”এলান কর্পোরেশন” প্রতিষ্ঠানটির নামে আমি ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করিতে করিতে চাহিলে জনাব আমিনুল ইসলাম ইহাতে সম্মতি প্রদান করেন।তাই অদ্য ২৫/০৩/২০২০ ইং তারিখ হইতে উপরে উল্লেখিত ঔষধ প্রশাসনে আমি উক্ত ”এলান কর্পোরেশন” এর নাম ব্যবহার করত: যাবতীয় কাজকর্ম করিব এবং উহার সমস্ত দায় দায়িত্ব বহন করিব। ইহাতে ”এলান কর্পোরেশন” এর মালিক আমিনুল ইসলাম এর কোন দায়-দায়িত্ব থাকিল না। অদ্য হইতে ঔষধ প্রশাসনের কাজে ”এলান কর্পোরেশন” এর সমস্ত কাজের তদারকি আমি নিজে করিব এবং ইহাতে জনাব আমিনুল ইসলাম কোন আপত্তি করিবে না এবং করিলে তা সর্বাদলতে বাতিল ও অগ্রাহ্য বলিয়া গণ্য হইবে।
৩য় চুক্তিনামার পাতায় দিদারুল আলম, মো: জাকির হোসেন ও জিল্লুর রহমানের স্বাক্ষীর মধ্য দিয়ে মো: তাজুল ইসলাম স্বজ্ঞানে স্বাক্ষর সম্পন্ন করেন।
এদিকে স্থানীয় এক প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা অত্র প্রতিবেদককে বলেন, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমিন একজন সহজ-সরল সৎ,আদর্শবান ব্যক্তি। তিনি শুধু রাজনীতিবীদ নন তিনি বার বার সফল মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় নেতা।তিনি দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রতিনিয়তে মানব সেবায়ও নিয়োজিত রয়েছেন।তার এই ভালো কাজ গুলো কিছু কুচক্র মহলের সয্য হচ্ছে না।যার কারণে এইসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।তার মাত্র ৫০ হাজার পিস মাক্স সরবরাহ করার কখনো প্রয়োজন পড়ে না। আবার একজন রাজনীতিবীদ তার শুভাকাঙ্খি বা বন্ধুকে তার লাইসেন্স চাইলে না দিয়েও পারেন না, যেটা হয়তো আমি বা আপনিও পারবো না।
তাই আমরা সত্যটা বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকি এবং যে কোন বিষয়ে দেখে শুনে শেয়ার করি, জনগণের সামনে সত্যটা তুলে ধরি।
