Header Image

আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা থানায় অভিযোগ।

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

সাভারের আশুলিয়ায় ইয়ারপুর ইউনিয়নের ঘোষবাগ এলাকায় এক যুবককে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে এলাকা বাসী জানায়, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
গত ০৫.০৬.২০২০ইং তারিখে সন্ধ্যায় ৭টার দিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ঘোষবাগ এলাকার একটি পাইপ ফ্যাক্টরী সামনে থেকে যুবকটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পরে তাকে নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । বর্তমানের তার অবস্থা আশস্কা জনক । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইয়াসিন আরাফাত শুভর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বিক্ষত চিহৃ রয়েছে। বিষয়টি জানতে চাইলে শুভর মা লাভলী বেগম জানান আমাদের ক্রয় কৃত জমির উপর বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছিল এই বাড়ি নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে আমি এবং আমার স্বামীর কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল আলামিন মোল্লা। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত০৫/০৬/২০ ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক (৭) ঘটিকার সময় আমার ছেলে ইয়াসিন আরাফাত শুভ বাসা থেকে বের হলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে আশুলিয়া থানারইয়ারপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তাপুর দেওয়ান পম্পের পেছনে(১) মোঃ আল আমিন মোল্ল্যা পিতা ইসমাইল মোল্লা,( ২) অপু, (৩) অনিক, (৪) আলামিন, সর্ব নিশ্চিন্তাপুর ঘোষবাগ অফিসের পিছনে স্কুলের সামনে ফাঁকা মাঠে নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে উদ্দেশ্য প্রবণ হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা দিয়ে কোপ মারলে আমার ছেলের সরে গেলে উক্ত কোপে পায়ের রগ কাটা যায় । রক্তাক্ত জখম হয় এবং মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে ফেলে রেখে যায় করেন া বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক । তিনি আরো বলেন আরো বলেন যারা মারধর করেছেন তারা ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য এ ব্যাপারে আমি গত ০৫/০৬/২০ইং তারিখ আশুলিয়া থানায় হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি । এ বিষয়ে আলামিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি এব্যাপারে উক্ত অভিযোগে অভিযুক্ত ২ নং আসামী অপু জানান ওই দিন আমি ছিলাম কিন্তু মারামারি করি নাই । আশুলিয়া থানার ঘোষবাগ পাইপ ফ্যাক্টরি এলাকায় চাঁদা আদায়ের দাবিতে ইয়াসিন আরাফাত শুভ পিতা আবুল দেখেছি কিছু লোকজন শুভকে মারধর করেছে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি আলামিন মোল্লা, সাজ্জাদ হোসেন, ফারুক হোসেন, আনোয়ার হোসেন, অনিক সহ কয়েক জন, আর রামদা টা ছিল খাইরুল নামের এক পোলার কাছে । আলামিন মোল্লা আসলে যুবলীগের কর্মী কিনা জানতে চাইলে ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নুরুল আমিন সরকার জানান এরা আমাদের যুবলীগের কেউ নয় ।আর এই ঘটনার বিষয় ও আমি জানিনা । অপরাধী সে যেই হোক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি । ভুক্তভোগী পরিবার চেয়েছেন তাদের সুষ্ঠু বিচার, এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুস আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন তদন্ত শেষে বলা যাবে আসলে কে দোষী , অপরাধী যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!