
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ৯ নং এনায়েতপুর
ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের একজন সহজ-সরল ক্ষুদ্র কৃষক আঃ কাদের মিয়া। তার বাড়ী ঘেঁষে বন বিভাগের
জায়গায় একটি খোলা জমিতে অনেক বছর আগে তিনি ২৫ টি আকাশমণি গাছ লাগিয়ে ছিলেন।
এতদিনে সেগুলো বয়সে পরিপক্ব হয়ে বিক্রির উপযুক্ত হয়েছে। কিন্তু বন বিভাগের গাছ কাটতে হলে কোন
প্রক্রিয়ায় কাটতে হয় সেটা সহজ-সরল কাদের মিয়ার জানা ছিলনা। তাই পরামর্শের জন্য একই এলাকার
বাসিন্দা সাগরদিঘী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও উক্ত এলাকার বন বিভাগের সভাপতি হিসেবে
আত্মপরিচয়দানকারী আরেক আঃ কাদের মাষ্টারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কয়েকদিন পরেই শিক্ষক আঃ
কাদের কৃষক কাদের মিয়াকে বলেন, গাছ কাটার অনুমতির সব প্রক্রিয়া শেষ এখন গাছ কাটা যায়। এই
বলে শিক্ষক মশাই নিজেই কাঠের ব্যবসায়ী, কাঠুরিয়া সব নিয়ে হাজির হন এবং কত টাকায় গাছগুলো
বিক্রি করেন সেটাও বেচারা কৃষক কাদের মিয়াকে জানাননি। টাকাও দেননি। বন বিভাগের
কর্মকর্তাদের আগে মিটিয়ে বাকি টাকা তাকে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হয়ে
গেলেও আর তার নাগাল পাননি কৃষক কাদের মিয়া। এ ব্যাপারে বন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে
তিনি জানান- বন বিভাগের গাছ বিক্রির বিষয়টি সম্পর্কে আমরাও অবগত আছি এবং এব্যাপারে
আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছি। আর আঃ কাদের মাষ্টার কোন সভাপতি নয় আমাদের উদ্যোক্তা সদস্য। সরেজমিনে
গিয়ে দেখা যায়, আঃ কাদের মাষ্টার কুখ্যাত মামলাবাজ। তার নামে ৭/৮টি মামলা হয়েছে পক্ষান্তরে সেও
নিরীহ এলাকাবাসীর উপর অগণিত মামলা ঠুকে দিয়েছে। মুঠোফোনে আঃ কাদের মাষ্টারের সাথে
যোগাযোগ করা হলে, কোন সদুত্তর না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যান। এনিয়ে এনায়েতপুরের ফুলতলা
এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।