Header Image

বালিপাড়ায় প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মেধা ও চেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে বিয়ারা পাটুলী রহমত উল্লাহ স্কুল।

 

আরিফ রববানীঃ

শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দের যৌথ প্রচেষ্ঠায় উন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষার গতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিয়ারা পাটুলী রহমত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা।

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি ততটাই উন্নত, কবির ভাষায় লেখাপড়া করে যে- গাড়ি ঘোড়ায় চড়ে সে, এসব শ্লোগান বাস্তবায়ন করতে উপজেলার বালিপাড়া বাজার রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিজ সন্তানের মত আদর-যত্নে শিক্ষা দিয়ে এলাকায় সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা । এলাকার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণ যুব সমাজকে সু-শিক্ষিত সুনাম অর্জনকারী জাতি হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধা ও দক্ষতার মাধ্যমে শিক্ষাকে কাজে লাগাতে এগিয়ে যাচ্ছেন উপজেলার বালিপাড়া বিয়ারা পাটুলী রহমত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আশরাফ উদ্দীন বাচ্চুর সঠিক নির্দেশনা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আকরাম হোসেন কাঞ্চন সরকারের সঠিক তদারকিতে মেধা দক্ষতার বলেই স্থানীয় শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে বলে বালিপাড়া ইউনিয়নবাসী ও অভিভাবকমহলের মাঝে চলছে সরগরম আলোচনা।

বিদ্যালয় সু্ত্রে জানা যায়, ১৪জন এমপিও ভূক্ত ও খন্ডকালীন শিক্ষকসহ মোট ২২জন শিক্ষক
প্রায় ১২০০জন শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাকে নিরলসভাবে প্রচার দিয়ে স্কুলের পাশাপাশি বর্তমান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তিকে দেশবাসীর কাছে আলোকিত করে তুলছেন শিক্ষকরা। প্রতিদিন সকালে সঠিক সময়ে স্কুলের নিয়োজিত শিক্ষকরা নিয়মিত হাজির হয়ে তাদের মেধাকে কাজে লাগাচ্ছেন বর্তমান প্রজন্মকে মেধাবী করে দেশের সুনাম অর্জনকারী জাতি হিসেবে গঠন করতে। তবে বর্তমান সময়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনায় স্কুলটি বন্ধ থাকায় বাড়ীতে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত লেখাপড়া করছে কিনা তারও খোজ খবর নিচ্ছেন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সকল বিধি-বিধানকে মেনে চলে স্কুলকে নিয়ে যাচ্ছেন উপজেলার শীর্ষ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রূপে গড়তে।

বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল শিক্ষকদের শিক্ষাদানের সফলতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সমাজের হতদরিদ্র অসহায় শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে, বিনা খরচে পাঠদানেও স্কুল শিক্ষকদের রয়েছে ব্যাপক প্রশংসা। মেধাবী শিক্ষার্থীরা যাতে অর্থের অভাবে ঝড়ে না পড়ে এবং সমাজের ভয়ংকর ব্যাধি বাল্য বিবাহের শিকার না হয় সে জন্য প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষকরা প্রতিনিয়তই মনিটরিং এর মাধ্যমে দেখভাল করে থাকেন। অভিভাবকদেরকে বাল্য বিবাহের বিষয়ে সচেতন করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে এগিয়ে নিচ্ছেন শিক্ষা গ্রহণে। স্কুলের শিক্ষাদান পদ্ধতি অত্যান্ত আধুনিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব হওয়ায় প্রতি বছর এর ফলাফল স্থানীয়দের নজর কাড়েন। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদেরকে অতি আদর স্নেহে শিক্ষাদান দিয়ে থাকেন বিধায় বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রতি বছরই বৃদ্ধি পায়। নিজেদের সন্তানের মত শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান করায় শিক্ষার্থীরাও স্কুলে নিয়মিত অংশগ্রহণের ফলে প্রতিবছর বোর্ড পরীক্ষাসহ সকল পরীক্ষায় স্থানীয়দের মাঝে স্কুলটি ব্যাপক আলোচনার স্থান করে নিয়েছে।

শিক্ষকদের সঠিক নজরদারীর কারণে ও নকলের বিরুদ্ধে প্রতিটি শিক্ষক তাদের আদর্শ নিয়ে সোচ্চার থাকায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরই সন্তুষ্ট জনক ফলাফল নিয়ে মেধাবী হয়ে গড়ে উঠছে ।

উক্ত প্রতিষ্ঠানে সদ্য ঘোষিত এসএসসির ফলাফলে এবছর পাশের হার দাড়িয়েছে ৮৬℅। যা গত বছর ছিলো ৮০℅। এবছর এই বিদ্যালয় থেকে মোট ২৬২জন পরীক্ষার্থী বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ১৪জন এ প্লাস সহ ২৩৫জন শিক্ষার্থী ভাল ফলাফল নিয়ে উত্তীর্ণ হয়। প্রধান শিক্ষক আশরাফ উদ্দিন বাচ্চু বি এ বিএড গত ২০১১ সালে স্কুলে যোগদানের পর থেকে তার পরিশ্রমে শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে অভিভাবক মহলেও সন্তোষ দেখা দিয়েছে।

সরকারী প্রশাসন স্কুলটির প্রতি সু-নজর বৃদ্ধি করলে এর শিক্ষার মান আরো এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অভিভাবক ও গণ্যমান্য মহল। তবে প্রধান আশরাফ উদ্দিন বাচ্চু জানায় -স্কুলে শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীদের চলাচলের অসুবিধাসহ বর্ষা সৃজন এলে বিদ্যালয় মাঠে প্রায় ১ফুট পরিমান পানি জমে থাকায় ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

এদিকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আকরাম হোসেন কাঞ্চন সরকার জানায়- বিদ্যালয়ে ২বছর মেয়াদী ম্যানেজিং কমিটির দ্বিতীয় মেয়াদের ১বছর সহ তিনি মোট ৩বছর যাবৎ সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে আছেন। তিনি তার দায়িত্বকালে বিদ্যালয়ের চতুর্দিকে প্রায় ৩৬২ফুট সীমানা প্রাচীর, বিদ্যালয় সংলগ্ন ২২শত স্কয়ার ফিট মসজিদ নির্মাণসহ শিক্ষকদের ডিজিটাল হাজিরা স্থাপন,শিক্ষার্থীদের জন্য ৩২/২২ পরিমাপের একটি শ্রেণীকক্ষ, বিদ্যালয়ের জন্য ১কাঠা জমি ক্রয়,স্কলে প্রবেশের মেইন গেইট নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করেছেন তার সময়ে। বাকী সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষে বিভিন্ন মহলে চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!