বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঢাকার নিকটবর্তী আশুলিয়ায় দিন যতই যাচ্ছে ঘটনা ততই বাড়ছে ছোট বড় অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে দ্বিগুণ হচ্ছে খুন-জখম মাদক সেবন সহ বিভিন্ন অপরাধ । প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিদের ছএছায়া। তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করছেন কিশোর গ্যাং নামক বাহিনী । ঘটনা ঘটলে দোষ দিছেন এক পক্ষ অন্য পক্ষকে মামলা হচ্ছে প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদ থেমে নেই অপকর্ম মারামারি সহ খুন-খারাপি..ছিনতাই .মাদক ব্যবসা । জমি দখল, বাড়ি দখল , মাদক সেবন,সহ ধর্ষণের মত জঘন্য তম অপরাধ।
আশুলিয়া থানার ভাদাইল উত্তর পাড়া এলাকায় রুপায়ন মাঠে শাকিল নামে একজনকে কুপিয়ে আহত থানায় অভিযোগ । অল্প কয়েক দিন যেতে না যেতেই ভাদাইল পূর্বপাড়া স্বানালী ইলেকট্রিক এন্ড্র ফার্নিচার এ কর্মরত হাসিমুল ইসলাম টুটুল ( ১৯) পিতাঃ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন (৫৫) সাং উচ্চগ্রাম থানাঃ সরিষাবাড়ী জেলা জামালপুর গত,০৮/০৬/২০ ইং তারিখে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় দোকানের কিস্তি উঠানোর উদ্দেশ্যে জামগড়ায় যাওয়ার পথে ভাদাইল পূর্বপাড়া শাহিনের বাড়ির সামনে রুপায়ন মাঠে তাহার পথে গতিরোধ করে পূর্ব শত্রুতার জেরে ১/মুকুল হোসেন, (২২) পিতা শহিদুল ইসলাম, ২/রকি, ৩/ছোট রকি, ৪/হৃদয়(,৫) বিকাশ, (৬) হাবিব, (৭ ) শান্ত,( ৮) শাহীন (২০) পিতা মোস্তফা সর্ব সাং ভাদাইল পূর্ব পাড়া আশুলিয়া ঢাকা সহ,আরো ১০/১২ জন তাদের হাতে থাকা রড হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, চাপাতি, ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথা সহ বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয় মারা গেছে ভেবে কিশোর গ্যাং চলে গেলে মুমূর্ষ অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জিফাত ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ডক্টর সেন্টারে ভর্তি করেন পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এ ব্যাপারে গত ১০/০৬/২০ইং তারিখ তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ৩৩৮(৪)১ । ভুক্তভোগী পরিবারটি চেয়েছেন উপযুক্ত বিচার, এলাকাবাসী জানান বিভিন্ন জেলা থেকে আমরা আশুলিয়া এলাকায় এসে বিভিন্ন কর্ম করে থাকি দীর্ঘদিন এলাকায় বসবাস করার কারণে জীবনের সর্বসম্বল গচ্ছিত টাকা পয়সা দিয়ে মাথা গোঁজার জন্য এলাকায় জমি ক্রয় করলে চাঁদা দাবি বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে চাঁদা না দিলেই কিশোর গ্যাংদের দিয়ে বাড়ি নির্মাণে বাধা । ভয়ে মুখ খুলতে পারে না কেউ এদের ব্যবহার করছেন এই এলাকার কিছু স্বার্থলোভী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিষয়গুলো জানতে চাইলে তারাও দিচ্ছেন একজন অন্যজনের দোষ হচ্ছে মামলা হচ্ছে অভিযোগ থামছেনা অপকর্ম । কিশোর গ্যাং এতটাই খারাপ যে এরা মানছেন না সম্মানী ব্যক্তি বয়স্ক ব্যক্তি সহ শিশুদের ।প্রতিনিয়তই ঘটছে এ ধরনের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবী।কিশোর গ্যাং যারা তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রশাসন খতিয়ে দেখে ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনলে হয়তো কিশোর গ্যাং নামক সন্ত্রাসী বাহিনী নির্মূল হবে। স্বস্তি ফিরে পাবে আশুলিয়া সহ ভাদাইল বেশি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ নূরুল হুদা জানান এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং উক্ত মামলার ৪ নং আসামী হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।