
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে নীরিহ এক ব্যক্তির বসত বাড়িতে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ও চিন্হিত স্ত্রাসীরা এই গঠনা বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। হামলা ও ভংচুরের ঘটনা বাঁধা দিতে গিয়ে নারী পুরুষসহ কমপক্ষে -৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে । শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বহড়ভিটা গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে।
সুত্র মোতাবেক জানাযায়,উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনয়নের বহড়ভিটা গ্রামের নিরীহ জয়নাল অাবেদীন ও রহমত অালীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের রফিক,এমরান,
বাবুল,সাইদুলসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের। তারা জোর পুর্বক অবৈধভাবে নিরীহ জয়নাল ও রহমত আলীর জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এই ঘটনায় প্রভাশালী এসব দখলবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আইনের আশ্রয় নিলে সেই ঘটনার সুত্র ধরে নিরীহ জয়নালদের সাথে রফিক,এমরান গংদের বিরোধের জন্ম নেয়। পূর্ব বিরোধের এই জের ধরে ১২ই জুন শুক্রবার দুপুরে রফিকের নেতৃত্বে ২০/৩০জন লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জয়নাল অাবেদীন ও রহমত অালীর বসত বাড়িতে হামলা চালায়।এসময় হামলাকারীরা প্রতিপক্ষের ৪ টি বাড়িঘর ভাংচুর ও ঘরে থাকা স্বর্নালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে। হামলা ও লুটপাটে বাধা দিতে গেলে হামলাকারীদের আঘাতে প্রায় শিশুসহ প্রায় ৭জন আহত হন। অাহতরা হলেন, লিমা (২২), জুমা (২১), ইতি (২৪), মাসুদা (২০), আয়েশা (৬০), জুনায়েদ দের বছর, নুসরা (২)।
হামলাকারীদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম রফিক তার বাবা হামিদুর রহমান ও এমরানের পিতা আব্দুর রশিদ এলাকার চিন্হিত রাজাকার বলে স্থানীয়রা জানায়।
পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সহ সভাপতি মোঃ বকুল মিয়া এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- স্থানীয় রাজাকারের দুই ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক ও এমরানের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এদের নামে বিস্ফোরণ মামলাসহ একাদিক মামলার আসামী।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় স্থানীয় গণ্যমান্য ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা।