ষ্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহ নগরীর শহরতলি এলাকা খাগডহর বাজারে পান দোকানি কিংবা ছোট ফার্মেসীতে খুব সহজেই মিলছে হেরোইন ইয়াবা, নেশার দেশী বিদেশী ইনজেকশন, ট্যাবলেট ও নেশা করার নানান দ্রব্য ও সামগ্রী। খুব সহজ ভাবে হাত বদল হয় নেশা। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। কি চাই তোমার? ইয়াবা, হেরোইন, নেশার দেশী বিদেশী ইনজেকশন না নেশা করার বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে কোর্স! এ যেন ছেলের হাতের মোয়া! লকডাউনের কারনে নেশা খোররা যেন টালনাতাল। খাগডহর বাজারে আসছে আর নিচ্ছে। দুভাই যেন হয়ে উঠেছে মাদকের গড ফাদার। এদের একজন টিটুকে ইয়াবাসহ ডিবি পুলিশ ২/৩ দিন আগে ধরে মামলা ঠুকে দিয়েছে। আরেকজন আবুল কাশেম একক ভাবে মাদক বিক্রির আধিপত্য হাতে নিয়েছে! হরধম চলছে তার মাদক ব্যবসা।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, খাগডহর বাজার, রবিরমোড়, রোড স্টেশন, ভেটেরেনারি প্রিন্সিপাল এর বাসার আসপাশে ইয়াবা ও হেরোইন ব্যবসায়ী কম নয়। গত শুক্রবার ইয়াবাসহ কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে শতাধিক ইয়াবাসহ সাংবাদিক রোড স্টেশন এলাকার ফেরদাউসের পুত্র শতাধিক ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়। এর পর আত্মগোপনে চলে যায় কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী পায়েল ও তার ভাতিজা শুভ। এরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে! জাতীয় পার্টি বা কৃষক লীগ দাবীদার নেতা মুক্তার ভাই বলে তাদের দাপট যেন একটু বেশী। এরা ১০/১২ বছরের শিশু কিশোর দিয়েই ইয়াবা বা হেরোইন ডেলিভারী দেয়। রবির মোড়ে আছে রাজিব। এসকল মাদক ব্যবসায়ীর সহপার্টী আছে আরো ৫/৬ জন। চলছে মাদকের ব্যবসা হরহামেশাই। স্থানীয় সাংবাদিক অনেকেই এদের আত্নীয়। কোন কোন মাদক ব্যবসায়ী এদের সাথে মিলে মিশেই চলে। মাদক ব্যবসায়ীদের কারো মাল আসে কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে, কেউ আনেন আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে। কখনো আবার তারা সারোয়ার এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে মাদক আনে। এলাকায় এরাই মুলত বড় ধরনের ব্যবসায়ী। ছোটকারা আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেছে। বাকি রয়েছে ডিলার প্রকৃতির মাদক ব্যবসায়ী। এদের হাতে বা মোবাইলে সেভ করা আছে কিছু কিছু পুলিশের মোবাইল নাম্বার। এরা ধরা না পড়ায় অনেকে ঘটনাটি সন্দেহের চোখে দেখছে।