
সাইফুল ইসলাম তরফদার, ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ১০ নং কালাদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: নুরুল ইসলাম
মাস্টার সহ প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গতকাল শনিবার
দুপুরে গিয়ে স্থানীয় ভ্যানচালক, দিনমজুর, হতদরিদ্র সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার
মানুষের ক্ষোভ দেখা যায়।
সরেজমিনে কালাদহ ইউনিয়নের ইয়াদ আলীর মোড় সংলগ্ন চেয়ারম্যান বাড়ীর
রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগি সহ সরকারী ২টি ইউ ড্রেইন বন্ধ পাওয়া যায়।
জীবনের তাগিদে অনেকে জুতা হাতে নিয়ে মাইলের পর মাইল পাঁয়ে হেঁটে
দৈন্দদিন কাজে যেতে দেখা যায়। মুলত এলাকার প্রভাবশালী খোরশেদ ও হান্নানের
দুটি ফিসারী জলাবব্দতা সৃষ্টি করে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনা, কথা
বললে হুমকি দেয় যে তোমরা পানিতে ডুবে আছ না কোথায় আছ তা আমার দেখার
কথা না। আমরা ব্যবসা করতে এখানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছি।
স্থানীয় ভ্যানচালক আবুল কাশেম বলেন , ফিসারীর জলাবদ্ধতার ফলে আমার বাড়ি ঘর
পানিতে ডুবে একটি ঘর ভেঙ্গে গেছে। মেরামত করতে না পেরে জীবনের তাগিদে
বাজারে বাসা ভাড়া করে পরিবার পরিজন নিয়ে আছি। করোনা ভাইরাসের মহামারির
মধ্যে ভ্যান চালিয়ে জীবন চালানো যেখানে কষ্ট যেখানে ফিসারী মালিকদের কারনে
আজ আমি বাড়ি ছাড়া।
আ: রশিদ ফকির বলেন, ৮৮ বন্যার সময় এ এলাকায় এমন পানি ছিলনা এখন একটুু
বৃষ্টি হল্্েই হাটু পানি হয়ে যায় শুধুমাত্র সরকারী দুটি ইউ ড্রেন ও একটি
সরকারী খালের মুখ বন্ধ করে দেয়ার কারনে। জলাবদ্ধতার কারনে সবজি ফসল হিসেবে
পরিচিত এলাকাটি এখন পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। মৌসুমী ফসল পানিতে তলিয়ে
গেছে। প্রতিদিন ই আশে পাশের বাড়িতে বিষধর সাপ প্রবেশ করে বলে জানায়
তারা।
আরও জানা যায়, ফিসারী লীজ নেওয়ার সময় ফিসারী মালিক খোরশেদ ওহান্নান
জমির মালিকদের পাওনা টাকা থেকে১৯৫০০টাকা কম দিয়েছেন পানি নিস্কানের কথা বলে কিন্তু তিনি এখন পযন্ত ড্রেনতো করেনি, সরকারী খালের মুখ বন্ধ করে
দিয়েছে। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ২শত পরিবার আজ পানি বন্ধী।
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মাস্টার জানিয়েছেন, আমার কাছে প্রাপ্ত
অভিযোগের সততা পাওয়ায় আমি সরেজমিনের প্রতিবেদন পরবর্তী প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর সুপারিশ করে আবেদন
পাঠিয়েছি।