Header Image

ত্রিশালের কাঠালবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন মেধাবী ছাত্র শরীফ।

 

আরিফ রববানীঃ

 

জীবনের অগ্রগতি ও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রথম পরীক্ষা ২০২০সালের এসএস সি তে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাঠাল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কালির বাজার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী ও ভাগ্যবান শিক্ষার্থী শরীফ আহমাদ। উপজেলা ভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা-২০২০এ অংশ গ্রহন করেও প্রথম স্থান অধিকার করেন উপজেলা কাঠাল ইউনিয়নের ধলাইমান গ্রামের সিরাজুল ইসলামের সন্তান শরীফ আহমাদ।

গত ২০১৯ সালে উপজেলা পর্যায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত কুইজ প্রতিযোগিতা২০১৯ এ অংশ গ্রহন করলে সেখানেও প্রথম স্থান অর্জন করে শরীফ। এছাড়াও কালীর বাজার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্কউট গ্রুপে SPL হিসাবে কৃতিত্বের সাথে ৪বৎসর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

ব্যবসায়ী বাবার এই মেধাবী ছেলেকে নিয়ে ইতোমধ্যেই এলাকায় আলোচনা শুরু হয়েছে। ইউনিয়নের গণমানুষের প্রশংসায় ভাসছেন শরীফ আহমাদ।

বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন, ছড়া,কবিতা,রচনাসহ বিভিন্ন লেখালেখির অভ্যাস রয়েছে। সুযোগ পেলেই যে কোন বিষয় নিয়ে কবিতা ও রচনা লেখায় তার মেধার কারণে তাকে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সকলে অত্যন্ত পছন্দ করে। সবার প্রত্যাশা শরীফ আহমাদ একদিন বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করবে। সে পথেই হাঁটছেন শরীফ।

উপজেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় ও গত ২০১৯ সালে উপজেলা ভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতায় শরীফের অংশ গ্রহনে জয়ের ব্যাপারে অনেকের কাছে অসম্ভব মনে হলেও ফলাফল দেখে খুশী হন সবাই। শরীফ প্রথম হবে সেটা কখনো কেউ না ভাবলেও ফলাফলে অভাক করে দিয়েছেন সবাইকে। ফলাফলের পর থেকেই আত্মীয় আর বন্ধুরা তাকে শুভকামনা জানাতে লাগলেন। খুবই ভালো লেগেছে সকলের কাছে। শরীফের মা মজিদা খাতুন একজন গৃহিণী। মা-বাবা দুজনই তাঁকে সারাক্ষণ উৎসাহ দিয়ে থাকেন। নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রম ও মা বাবার দোয়ায় এবং এলাকাবাসীর সহযোগীতায় এই সব ফলাফল সম্ভব হয়েছে বলে জানালেন শরীফ আহমাদ ।

শরীফ বলেন, আমাদের দেশে পড়াশোনা শেষে অনেকে দেশের বাইরে চলে যায়। আমি চাই দেশেই থাকবো, ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে দেশে থেকে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। দেশের জন্য কাজ করতে ডাক্তার হওয়া একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম।
তিনি বলেন, এই সাফল্য পেতে লেগে থাকতে হবে, একটা গাইডলাইন তৈরি করে এগোতে হবে। তাহলেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে।

শরীফের মেধা আছে তাই অনেকেই তাকে নিয়ে গর্ব করে লিখছেন, সমাজে ভেদাভেদ তৈরির অপচেষ্টাকারীদের জন্য শরীফ অনন্য উদাহরণ।
পোশাক ও বর্ণ সাম্প্রদায়িকদের চোখ খুলবে শরীফ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!