
স্টাফ রিপোটারঃ
করোনা ভাইরাস প্রার্দুভাব মোকাবেলায় বিশ্বে চলছে এক ধরনের যুদ্ধ। করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে মানুষকে বাঁচাতে প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক সহযোগিতা করে আসছে। বাংলাদেশ ও তার মাঝে অন্যতম।এ দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী মানবিক নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনা থেকে দেশবাসীকে হেফাজতে রাখতে স্বাস্থ্যখাতের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে যাচ্ছেন।বিভিন্ন প্রনোদনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতকে আরো গতিশীল করার জন্য ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু অসাধূ সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কারণে কিচিৎসা খাতের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের সকল চেষ্টা। করোনা ভাইরাস প্রার্দুভাব মোকাবেলায় দেশের অন্যান্য মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান প্রোটেকশন সরবরাহ করে আসছে এবং অর্থের বরাদ্দ দিচ্ছেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের জন্য ও সম্প্রতি প্রায় কয়েক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। বিশেষ করে কেরোসিন, ব্লিসিং পাউডারসহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল ক্রয় করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে অধ্যক্ষ অসুস্থ হওয়ায় তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার সুযোগে জহিরুল হক নাম মাত্র জিনিস পত্র ক্রয় করে বাকী টাকা আত্মসাত করেছেন বলে নানান গুনঞ্জন চলছে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানান, ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি থাকলেও কোন নিয়মই মানছেন না তিনি। সরকারী কোয়ার্টার পর্যন্ত তিনি ভাড়া দেন ।
মেডিকেল কলেজের কর্মচারীদের বরাদ্দকৃত কোয়ার্টার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। মমতাজ বেগমের কোয়ার্টার নামে বরাদ্দ কোয়ার্টার ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরন করেন বিভিন্ন হুমকি পর্যন্ত দেন তিনি ।
তার অপকর্মের কথা কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। করোনা ভাইরাস প্রার্দুভাব মোকাবেলায় আউট র্সোসিং দুইটি গাড়ী তিনি তার পরিবারের জন্যও ব্যবহার করে সরকারী অর্থ আত্মসাত করছেন। কেউ কোন কথা বলার সাহস পর্যন্ত পায় না। তিনি অদৃশ্য শক্তি বলে অনেক অনিয়মকেই নিয়মে পরিনত করেছেন। কোন সেই শক্তি। তার ক্ষমতার উৎস কোথায় এনিয়েও বিভিন্ন মহলে চলছে সরগরম আলোচনা।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল হক (সচিব) জানান,আসলে করোনা সংক্রান্ত সকল জিনিসপত্র ক্রয় করার জন্য ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি আছে । সেই কমিটির সভাপতি ডাঃ শ্যামল কুমার সাহা। তাদের নির্দেশেই ক্রয় করা হয়। আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কোয়ার্টার বিষয়ে তিনি বলেন- সেখানে আমার আত্মীয় স্বজন ভাই,বোন থাকে আমি ভাড়া দেইনি। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দুইটি গাড়ী আছে। সেই সকল গাড়ী দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া আসা করে। দুই দিন পর পর ঢাকায় যাইতে হয় সেই কাজেই ও গাড়ী ব্যবহ্রত হয়। ব্যক্তিগত কোন কাজে গাড়ী ব্যবহত হয় না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে আমার ভাবর্মুতি নষ্ট করার জন্য কেউ হয়তো কাজ করছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ক্রয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ শ্যামল কমার সাহাকে ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ আক্তারোনেছা জানান,অধ্যক্ষ মহোদয় অসুস্থ হওয়া আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আছি।
এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। করোনা ভাইরাস প্রার্দুভাব মোকাবেলায় কোন কিছু ক্রয় করতে হলে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি আছে উনারা কিনেন। অর্থের কোন ব্যাপারে আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি জানি না তবে বিষয়টি দেখবো।
