by SF News
সাইফুল ইসলাম তরফদারঃ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ কোয়ার্টার সহ উপজেলার সর্বত্র নিরাপদ পানি সরবরাহের নলকূপ স্থাপনে দিন দুপুরে পুকুর চুরির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কোয়ার্টারে স্থাপিত নলকূপ স্থাপনে এর সততা পাওয়া যায়। উপজেলা প্রশাসনের চোখের সামনে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কাজটি শেষ হতে চললেও কেউ কোন প্রতিবাদ করছে না।
জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ফুলবাড়িয়া উপজেলায় ২৮৫টি নলকূপের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত হন মেসার্স তানিয়া এন্টারপ্রাইজ। দীর্ঘদিন যাবত অত্র ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানই কাজ পেয়ে থাকেন। তানিয়া এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্ত¡াধিকারী বাবলু কাজ ভাগিয়ে আনতে সাংঘাতিক পটু। তার বিরুদ্ধে প্রতি বছরই কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও অদৃশ্য কারণ ও ম্যানেজে তিনি পার পেয়ে যান। মালামাল নি¤œমানের হওয়ায় নলকূপ স্থাপনের কয়েকদিন যেতে না যেতেই তা ব্যবহারে অনুপযোগি হয়। গতকাল উপজেলা পরিষদ কোয়ার্টারে শত শত মানুষের সামনে পুরাতন ইট, উপরে কিছু নম্বর ছাড়া ইট, বালি ও দায়সাড়া সিমেন্ট ব্যবহার কাজ করতে দেখা যায়। উপজেলা পরিষদ কোয়ার্টারে যদি কাজের মান এমন হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কাজের মানটা কতটুকু সে প্রশ্ন থেকেই যায়? তানিয়া এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্ত¡াধিকারী বাবলু যোগসাজসে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়াও কোভিট-১৯ প্রাদুর্ভাব চলাকালীন সময় উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারীতে একটি নিরাপদে হাত ধৌতকরণ কাজে ব্যাপক কারসাজি হয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিপ্তরের উদাসীনতায়। কল দিলেও পানির কানেকশন দেওয়া হয়েছে এ্যাডরা নামের এনজিও এর পানির ট্যাংক থেকে। একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে উপজেলা হাসপাতালে। অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে অত্র অফিসটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হচ্ছে।
ঠিকাদার বাবলু কে একাধিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপ সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন এর মুঠোফোন (০১৫১৫৬৭৩৩**) নম্বরে ৯বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
Post Views:
৮৯৮