Header Image

কাঁদতে কাঁদতে বাবাকে ছেড়ে দেওয়ার আর্তি জানাচ্ছে দিনরাত

খায়রুল আলম রফিক,কক্সবাজার থেকে ফিরেঃ

বাবা সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা আজ সাথে হয়তো ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া তথা সবই হতো শিশুটির। খেলনাপাতিও কিনে দিতেন । বুকে বুক রেখে শ্বাস নিত পিতার আদর । পাঁচ বছর বয়সী সাজেদুল মোস্তফার সবই কেড়ে নিয়েছে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও কক্সবাজারের এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন । পিতা ফরিদুল মোস্তফা সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করায় রোষানলে পরেন এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার । পিতার নামে সাজানো হয় মাদক ও অস্ত্রসহ ৬টি মামলা । নির্যাতন করা হয় তাকে । অত:পর দীর্ঘ ১১ মাস যাবৎ রয়েছেন কারাগারে । ফরিদুল মোস্তাফার কনিষ্ঠ সন্তান হওয়ায় অন্য ছেলে মেয়েদের চাইতে একটু বেশিই আদর করতেন শিশুপুত্র সাজেদুল মোস্তফাকে । পুলিশ ফরিদুলকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার দিন থেকে পুলিশ আতঙ্ক আর পিতার চোখে জল দেখে আর্তনাদ করেই চলেছে ছোট্ট ছেলেটি। কাঁদতে কাঁদতে এখনও তার বাবাকে ছেড়ে দেওয়ার আর্তি জানাচ্ছে রাত দিন । শিশুটির রাতদিন যে ভাবে চিৎকার করে চলেছে আর আতঙ্কের জের ধরে যেন মারা না যায়, তাই তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে ।
এলাকাবাসী জানান, পুলিশ তার পিতাকে আটকের দিন থেকে সাজেদুলের কান্না যেন থামছেই না। বাবার কথা বলেই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে সে। বাবাকে ফিরিয়ে আনা হবে মিথ্যা সান্তনায় কিছু সময়ের জন্য কান্না থামানো হলেও ফের কাঁদছে সাজেদুল। বাবা মজা ( খেলনা , চকলেট, শিশু খাদ্য) নিয়ে কখন ফিরবে তা জিজ্ঞাসা করে বার বার। তার কান্নায় মাতম ছড়িয়ে দু:খের মাতম চলছে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার স্বজনদের মধ্যেও।

ফরিদুল মোস্তফার জামিন পেলে তার ছেলে- মেয়েদের লেখাপড়া, ভরণ পোষন সবই হত । এজন্য সরকারের সংশ্নিষ্ট বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর ও বসকো”র সভাপতি হাসান আল মামুন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!