আরিফ রববানী,(ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের ত্রিশালে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক,তরুণ রাজনীতিবিধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে গড়া সাবেক ছাত্রনেতা ইব্রাহিম খলিল নয়নের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআন খতম, সভা,দোয়া ও মোনাজাত ও নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে ১৫ই আগস্ট শনিবার সকালে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নয়নের নেতৃত্ব উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সাবেক সাবেক ছাত্রনেতারা।
দুপুরে বাদ জোহর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নিয়ামাতিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় কোরআন খতম,মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হলে মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও চলমান মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে দেশবাসীর হেফাজত কামনা করা হয়। পরে সাবেক এই ছাত্রনেতা তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত প্রায় প্রায় ২০০শত এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরন করা হয়।
বিকালে তার নিজ কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্যক্তিগত উদ্যোগে শোক দিবসের এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হলে সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ত্রিশাল উপজেলা শাখার সভাপতি রানা ইমরান হাসান, ত্রিশাল পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক এমদাদুল হক স্বপন,যুগ্ম আহবায়ক মানিক চন্দ্র রাজ বর,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ইলিয়াস হোসাইন,জহির শেখ মোস্তাফিজুর রহমান রাজন,শফিকুল ইসলাম শরীফ, ইমরান আল সাব্বির, রুবেল চৌধুরি সদস্য,আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, নোমান,ধানীখোলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাদেক আলী, সাবেক সাধারন সম্পাদক রাজিব আহমেদ, সাদেক আলীসহ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনায় ইব্রাহিম খলিল নয়ন বলেন- অসহায়,গরীব দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনোই মাথা নত করেননি। জেল-জুলুম এবং অত্যাচার সহ্য করে তিনি বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি এক যুগেরও বেশি সময় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। তিনি সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত, শোষিত ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের অনুপ্রেরণার এক অনিঃশেষ উৎস।
তিনি বলেন-১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় এক দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে সংগঠিত হয় বিশ্বের ইতিহাসে সব থেকে নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। জগতে আর কোনো হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশু, অবলা অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যা করা হয়নি। আর এই হত্যাকাণ্ডে রেহাই দেওয়া হয়নি মেহেদি-রাঙ্গা নববধূকেও। সে সময় বিদেশে ছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে যান আমাদের আশার বাতিঘর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। সেদিন তারা বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। বিচার হয়েছে যুদ্ধাপরাধের । কলঙ্কযুক্ত হয়েছে দেশ। আমরা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে সারা বিশ্বে আজ স্বমহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের রোল মডেল।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু রয়েছে তার আদর্শ তার কর্ম। আমরা তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।। মোনাজাত ও আলোচনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরাও উপস্থিত ছিলেন।।