
আরিফ রববানী,(ময়মনসিংহ)
স্বাধীনতার স্থপতি,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালন করেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের বাংলার মুখ বঙ্গবন্ধু আদর্শ স্মৃতি সংঘ।
এ উপলক্ষে সিধলা ইউনিয়নের সামাজিক সংগঠন বাংলার মুখ বঙ্গবন্ধু আদর্শ স্মৃতি সংঘের
আয়োজনে শনিবার সকালে সংগঠন কার্যালয় থেকে থেকে একটি শোক র্যালী বের করা হয়।র্যালিটি স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান সংগঠন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা। উপজেলা প্রশাসন,বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বিকালে ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আফতাব মেম্বারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা শরীফ হাসান অনু। তিনি বলেন,শোককে শক্তিতে রুপান্তর করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মূল্যবোধ এবং প্রজ্ঞা যুগ হতে যুগান্তরে বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে তা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। তিনি বঙ্গবন্ধুর ত্যাগী ও সংগ্রামী জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সর্বস্তরের জনগনকে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান সবুজের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান
সোহেল রানা,সিধলা ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সহ-সভাপতি মোর্তূজ আলী তালুকদার,সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহজাহান কবীর সাজু, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলার মুখ বঙ্গবন্ধু আদর্শ স্মৃতি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা
মোঃ দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ফায়জুর রহমান,আওয়ামী লীগ নেতা
আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল, হায়দার রশীদ মিলন,মোঃ লিটন,, ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের আহবায়ক নূর মোঃ নোমান,মোঃ সাইদুর প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা ও চলমান মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে মানুষের হেফাজত প্রত্যাশায় মিলাদ ও দোয়া এবং খাবার বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তার তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যদের বুলেটের নির্মম আঘাতে শহিদ হন।জাতির পিতার দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।