মোঃ আল-আমিন, স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর উত্তরখান রাজাবাড়ি খ্রিষ্টান পাড়ায় কিশোর গ্যাং এর ছুরিঅাঘাতে কলেজ ছাত্র সোহাগ (১৬) খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ রাজধানীর উত্তরখান থানার ৪৬নং ওয়ার্ডের আব্দুস সাত্তার এর ছোট ছেলে। তিন বোন ও দু ভাইয়ের মধ্যে সোহাগ সবার ছোট। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলো।পাশাপাশি নীহতের বড় ভাই মেহেদী হাসান সাগর উত্তরখান থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।
নিহতের বড় ভাই মেহরদী হাসান সাগর বাদী হয়ে উওরখান থানায় কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান হৃদয়কে প্রধান আসামী করে আরোও ৭জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলার করেছেন। হৃদয় একই এলাকার শহিদের ছেলে বলে জানা গেছে। ঘটনার প্রধান হৃদয়ের বাবা শহীদকে পুলিশ আটক করেছে। পাশাপাশি ৪জন সন্দেহভাজনকেও আটক করেছে উক্তরখান থানা পুলিশ।
ঘহটনার সময় নীহত সোহাগের পাশে থাকা বন্ধু আহাদ জানান, ঘোষ পরিবার রাত আনুমানিক ৮:৩০ মিনিটের দিকে আমি রিক্সা যোগে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। রিক্সা খ্রীষ্টান পাড়ার মোরে আসলে বৃষ্টির পানিতে রিক্সার চাকা পড়ে পানি ছিটে হৃদয়ের গায়ে লাগে। এসময় হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে রিকশাওয়ালাকে গালমন্দ ও মারপিট করে। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সোহাগ রিকশাওয়ালাকে মারতে বারণ করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হৃদয় ফোন দিয়ে তার কিশোর গ্যাংয়ের ৮ থেকে ১০ জন সদস্যকে ঘটনাস্থলে আসতে বলে।
আহাদ আরো জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই উক্ত রার ৮ নং সেক্টর হতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৮ থেকে ১০ জন আমাদের ওপর হামলে পড়ে। তাদের মধ্যে আনুমানিক (২২) বছরের একজন সোহাগের পেটে ছুরি বসিয়ে এক পাশ থেকে টান দিয়ে অন্য পাশে কেটে দেন। এসময় ছুরির আঘাতে সোহাগের নারি/ভূরী রাস্থায় পরে যায়। সোহাগ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে কিশোর গ্যাং সদস্যারা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আব্দুল্লাহপুরের আইচি হাসপাতাল ও পরে উক্তরার নস্ট্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতেই সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বড় ভাই মেহেদী হাসান সাগর বলেন, আজ অন্যায়ের প্রতিবাদ করাতে আমার ছোট ভাইকে জীবন দিতে হলো। আমি প্রসাশনের কাছে দাবী জানাই হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাস্থি মৃত্যুদন্ড দেযা হোক।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নীহত সোহাগ খুবই ভালো ছেলে ছিলো। এবার সে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিলো। সে কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতো না।
নীহতের বড় বোন সোনিয়া জানান, আমাদের সবার ছোট ভাই সোহাগ খুবই আদরের ছিলো। কারও সাথে খারাপ ব্যবহার করত না। অবসর সময়ে বাসার ছাদের উপর কবুতর পালন করতো।খুবই সাধাসিধা ও নম্র প্রকৃতীর ছেলে ছিলো। আমরা আমাদের ভাই হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাস্তি চাই।
জানতে চাইলে উওরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, আমারা কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছি। আসামিদের গ্রেপ্তারে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। নীহতের লাশ পোস্টমার্টম শেষে শুক্রবার দুপুর ৪টায় উত্তরখানে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।