Header Image

কালীগঞ্জে কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা প্রতারক সামাদ

 

মোঃ আল-আমিন গাজীপুর :

দেশের সর্বাধুনিক মডেল টাউন পূর্বাচল। গাজীপুরের কালীগঞ্জ এই আধুনিক শহরের পাশে থাকায় বিত্তবানদের নজর পড়েছে আশপাশের এলাকায়। সোনার টুকরো খন্ড জমিতে সবার নজর। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় ভূমি প্রতারক গোষ্ঠি সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

সক্রীয় প্রতারক চক্রের নেতৃত্বে আছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি দস্যু হিসেবে পরিচিত নাগরী ইউনিয়নের সেনপাড়া এলাকায় মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সামাদ।

স্থানীয়রা জানান, টাকার লোভে তুলনামূলক দূর্বল লোকদের টার্গেট করে সর্বোহারা করে দিচ্ছে এই সামাদ। স্বেচ্ছায় বা জোরপূর্বক যেভাবেই হোক মানুষের জায়গা তুলনামূলক কম মূল্য দেখিয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে দিচ্ছে।

সম্প্রতি এমনই একটি প্রতারনার ঘটনা ঘটিয়েছে সামাদ। প্রতারণার মাধ্যমে জাল দলিল করে অন্যের জায়গা নিজ নামে দেখিয়ে সেই জায়গা বিক্রি করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।

এ বিষয় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী রাজধানী ঢাকার পূর্ব রাজাবাজার তেজগাঁও এলাকায় সুশান্ত টমাস রোজারিও।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, প্রতারক আব্দুস সামাদ বিকৃত জমি ছেলের নামের দিয়ে ওই জমি ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চম্পা বির্জিনার নামে সাব কবালা করে। ইহা পূর্বে ২০০৩ সালে একই সম্পত্তি বিক্রি করে সামাদের নামে মিউটিশন করে। ২০১১ বিক্রী জমি ছেলের নামে হেবা করে দেয়।

উলুখোলা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক কমিশনের মাধ্যমে পূর্ব রাজাবাজার তেজগাঁও এলাকার সুশান্ত টমাস রোজারিওর নিকট থেকে পর্যায়ক্রমে সামাদ ৭২ লক্ষ , আইয়ুব আলী গং ৩৩ লক্ষ ৫০ হাজার ও দালালদের ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তিনটি চেকের মাধ্যমে টাকা বুঝে পেয়ে আব্দুস সামাদ দলিল সম্পাদন করে।

পরবর্তীতে ক্রেতা গোপনভাবে প্রতারণার বিষয়ে জানতে পেরে ১০ আগস্ট ২০২০ই গাজীপুর কালীগঞ্জ থানায় ৪২০, ৪০৬, ৫০৬ ধারায় আব্দুস সামাদ গংদের ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

আসামীরা হলেন, আব্দুস সামাদ,আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর মিয়া, হাবিবুল মিয়া, আজিজুল মিয়া ও সালমা বেগম। আসামীরা একই এলাকার কালীগঞ্জ থানার সেনপাড়ার বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, পূর্ব রাজাবাজার তেজগাঁও এলাকায় সুশান্ত টমাস রোজারিও সাথে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে আব্দুস সামাদ জোদ্দারের সাথে মিথ্যা মামলা আপোষ করে ১নভেম্বর ২০১৭ইং তারিখে ৬০.২৯ শতাংশ জমি দলিল নং আমোক্তার ১০০০৫ দলিল মূলে মোক্তারনামা সম্পাদন করেন।

তবে, সুশান্ত টমাস রোজারিও এ বিষয়ে উলুখোলা নাগরিক গ্রাম আদালতে অভিযোগ করলে বিচার কার্য শেষে বিচারকগণ ক্রেতা টমাসের পক্ষে রায় প্রদান করেন।

এদিকে বিষয়টি ২ নং দক্ষিণ কল্যাণপুর পিবিআই এডিঃ এসপি ম, তাহেরুল হক চৌহান কালীগঞ্জথানায় প্রেরীত এক পত্রে মামলার দায়ীত্ব দেয়া হয় পিবিআই কে। পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন বলেন, মামলার ৬ নং আসামী আব্দুস সামাদের ছেলে হাবিজুল মিয়াকে ইতিমধ্যে আটক করেছে পিবিআই।

সে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক করেছে। তবে মামলার প্রধান আসামী আব্দুস সামাদকে কে আটক করতে কাজ করে যাচ্ছে পিবিআই।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম মিজানুল হক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে।

এছাড়াও পূবাইল এলাকার আলম মৃধা সেন পাড়া এলাকায় জমি ক্রয় করে। কিন্তু সেই জমির বানোয়াট দলিল করেন আব্দুস সামাদ।

জাল দলিলের মাধ্যমে নিজে ক্রেতা সেজে ওই জমি দখল করে নাম জারি ও জমা ভাগ সম্পাদন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভলিয়ম যাচাই বাছাই করে রেকর্ডে ওই নাম্বারে সামাদের
নামে কোন দলিল পাওয়া যায় নাই। তবে ওই দলিল নাম্বারের স্থানে অন্য ব্যক্তির নামে দলিল লেখা আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!