নিজস্ব প্রতিবেদক:
ময়মনসিংহের ত্রিশালে সরকারি নজরুল ডিগ্রী কলেজ গেইট সামনে এবং ত্রিশাল থানার কার্যালয়ে সামনে বসছে অবৈধ বাজার। এতে যানজট বাড়ছে প্রতিদিন। সড়ক ও জনপথ (সওজ) এবং পৌরসভার জমিতে বসানো এই অবৈধ বাজারে রয়েছে প্রায় ৬০০ (ছয়শত) ভাসমান দোকান। অবৈধ দোকান পাটের মধ্যে ফল, কাচাঁ তরি-তরকারি, মাংসের দোকান উলেখযোগ্য।
এসব দোকান থেকে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, প্রশাসনের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দোকান ভাড়ার নামে চাঁদা হিসেবে প্রতিমাসে আদায় করছেন গড়ে ৩০ লাখ টাকা। বিট নামে এই চাঁদার ভাগ যাচ্ছে সরকারদলীয় নেতা, প্রশাসনের কিছু অসাধু সদস্যদের পকেটে। আর যাত্রী ও পথচারীরা শিকার হচ্ছেন ভোগান্তির।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের একশ্রেণীর নামধারী নেতা-কর্মী বাজার বসিয়ে চাঁদাবাজি করছে। এদের মধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আত্মীয় স্বজনও রয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযানও চালানো হয়। অভিযানের পর আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন চাঁদাবাজ ও অবৈধ ভাবে বসা দোকানিরা। দিন দিন অবৈধ দোকান সম্প্রসারিত হয়ে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কে চলে এসেছে। থানার সামনেও দোকানের পরিধি বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, থানার সামনে অবৈধ দোকান থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করেছে কে?। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদের পর আবারও অদৃশ্য ইশারায় দোকান বসানোর রহস্য ত্রিশালবাসীর কাছে রহস্যই থেকে যাচ্ছে।
কয়েকজন দোকানিরা জানান, আকার আর ব্যবসার ধরনভেদে প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিমাসে চাঁদা দিতে হয়। এই বাজার সংলগ্ন স্থানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদেরও চাঁদা দিতে হয়। এ চাঁদা কার নেতৃত্বে উঠানো হয় এবং কে কে নেন?
এদিকে অবৈধ বাজার পরিচালনাকারীদের অর্থাৎ চাঁদাবাজদের তালিকা করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থাটির দাবি, একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায় এসব বাজার বসানো হয়েছে। আমরা তাদের নামের তালিকা করেছি। তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত। এ সব ব্যক্তিরা জুয়া খেলাসহ নানান অপরাধে সমৃক্ত হয়ে পড়েছে । সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, এসব অবৈধ দোকানের চাঁদার টাকায় কেও কেও এখন কোটিপতিও হয়েছেন। অচিরেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অবৈধ দোকান উচ্ছেদে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।