স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি হয়েও বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা দায়ের করেছে এক নারী। এঘটনায় হত্যার শিকার পরিবারটির মধ্যে ভীতি, আতঙ্ক ও শঙ্কায় পড়েছেন। তাদের অভিযোগ, থানা পুলিশের খাতায় পলাতক হত্যা মামলার আসামি হয়েও ঘুরছে প্রকাশ্যে।
জানা গেছে, ত্রিশালের চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ঘটনা উপজেলার নওধার গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির হত্যাকান্ড। চলতি বছরের ৯ আগস্ট দুর্বৃত্তরা হত্যা করে তাকে। এঘটনায় নিহত মনিরুজ্জামানের স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তাৎক্ষনিক ৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। বাকী ৫ জন আসামি এখনও পলাতক। এই পলাতক আসামিদের একজন মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। পলাতক হয়েও হত্যা মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তারসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২৩১/২০২০। হত্যা মামলার পলাতক আসামি হয়েও কি করে তিনি মামলা করলেন এনিয়েই উঠেছে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন। চলছে আলোচনা সমালোচনাও। পুলিশের খাতায় পলাতক হয়েও বাদী হওয়ার প্রেক্ষিতে আদালত প্রাঙ্গণে স্বদর্পে ঘুরছে প্রকাশ্যে। হত্যা মামলার পলাতক আসামিরা আদালত প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ানোর কারনে বাদী পক্ষ শঙ্কিত, ভীত ও আতঙ্কিত। জানা গেছে, আসামিরা অবস্থান করছে তাদের নিজ নিজ বাড়িতেই। সূত্র জানায়, হত্যা মামলার পলাতক আসামি সিআর মামলার বাদী মোছাঃ ফাতেমা খাতুনের দায়েরকৃত মামলার বর্ণনাতেও রয়েছে নানা অসঙ্গতি। তার দায়েরকৃত মামলায় আসামি করা হয়েছে নিহত মনিরুজ্জামান মনিরের ছোট ভাই সাংবাদিক মাসুদ মিয়া ও তার স্ত্রী লাইজু বেগমকে । ফাতেমা খাতুনের দায়েরকৃত মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয় যে, সাংবাদিক মাসুদ মিয়ার বয়স ৩০ বছর এবং তার স্ত্রী লাইজু বেগমের বয়স ৩৭ বছর যা এক অসঙ্গতিপূর্ণ বর্ণনা। এনিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনা। অপরদিকে ফাতেমা খাতুন তার মামলায় যাদেরকে সাক্ষী দেখিয়েছেন তারা মনিরুজ্জামান মনির হত্যাকান্ডে গ্রেফতারের পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থেকে কি করে সাক্ষী হলেন এনিয়ে চলছে গুঞ্জন। এদিকে পলাতক আসামিরা কি করে প্রকাশ্যে ঘোরাফিরা করছে! থানা পুলিশের কর্মকান্ড নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
নিহত মনিরুজ্জামান মনিরের ছোট ভাই সাংবাদিক মাসুদ মিয়া জানান, আসামিরা প্রতিদিন আমাদের হুমকি দিচ্ছে। পলাতক আসামি আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে জানতে ত্রিশাল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলামকে ফোনে পাওয়া যায়নি।