আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ:

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার একজন জনবান্ধব ও জনপ্রিয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন। যিনি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে জনগণের মুখে হাসি ফুটাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের কল্যাণে যিনি নিজেকে সর্বদাই নিয়োজিত রেখে ইতিমধ্যে একজন জনবান্ধব ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।

যিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামিলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও দায়িত্বে থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা কে জাতির জনকের স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলার অন্তর্গত একটি আধুনিক, উন্নত দৃশ্যমান এলাকা হিসাবে গড়তে রাত-দিন উপজেলার একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দৌড়াচ্ছেন।

১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ সদর উপজেলা। এ উপজেলায় গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারুণ্যদীপ্ত মেধাবী আওয়ামী লীগ নেতা তার কর্মের মাধ্যমে সদরবাসীর প্রিয়মুখ হিসাবেই পরিচিত অর্জন করে নিয়েছেন।

তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য-সদস্যাদের সার্বিক সহযোগিতা, দিক-নির্দেশনা দিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সরকার ঘোষিত প্রতিটি কার্যক্রম প্রতিট ইউনিয়ন ও এলাকার উন্নয়নে সফলভাবে সম্পাদন করে আসছেন। জনসেবা প্রদানের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সদর এলাকায় সফল ও জনবান্ধব চেয়ারম্যান হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

উপজেলার ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনসাধারণ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে রয়েছে তার সু সম্পর্ক। তিনি সদর উপজেলার উন্নয়নে উপজেলা বাসী সহ সকলের দোয়া, সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক কাজ করে দলমত নির্বিশেষে তিনি সর্ববৃহৎ এই উপজেলার মধ্যে আস্থা অর্জন করেছেন।

এছাড়াও সদর উপজেলা পরিষদে বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা-টাবিখা, কর্মসৃজন প্রকল্প, এলজিএসপি, ওয়ান পারসেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেঞ্চ, কমিউনিটি ক্লিনিকে ফ্যান, চেয়ার, আলমারি, অবহেলিত রাস্তাঘাট সংস্কার ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিচয় দিয়েছেন। উন্নয়ন পাগল, জনগণের আস্থাভাজন পরিশ্রমী বিচক্ষণ চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন উপজেলা বাসীর সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করতে চান।

সদর উপজেলার রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, স্থানীয়রা জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপজেলার সকল ইউনিয়নের উন্নয়নে ও মানুষের কল্যাণে ব্যাপকভাবে কাজ করে চলছেন। তাকে পেয়ে দীর্ঘদিন পর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও ক্লিন ইমেজের চেয়ারম্যান পেয়েছেন উপজেলাবাসী। তিনি সদর উপজেলাকে আধুনিক ও মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছেন।

জনগণের প্রত্যাশা পূরণে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই উপজেলার সকল ইউনিয়নের সকল অসংগতি দূরসহ নাগরিক অধিকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বিশেষ করে কর্মসূচী প্রকল্প, কাবিখা-টাবিখাসহ সকল উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান,সদস্য ও সদস্যাদের আন্তরিক সহযোগিতা নিয়ে বাস্তবায়ন করছেন। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডগুলো সবসময় তদারকি করে চলেছেন। সততা, যোগ্য নেতৃত্ব ও উন্নয়নমূলক কাজ,মানুষে-মানুষে ঝগড়া কলহ সমাধানে অবদান রাখায় ইতোমধ্যে সদর উপজেলার মধ্যে তরুণ জনপ্রতিনিধি হিসেবে উপজেলাবাসীসহ সর্বমহলের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। চলমান মহামারী করোনা পরিস্থিতিতেও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন নিজের জীবন বাজী রেখে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক অসহায় মানুষের মাঝে ঘরে-ঘরে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা সহ করোনায় জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে সুরক্ষাসামগ্রী ও জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম চালানোসহ
ময়মনসিংহে করোনায় কেউ মারা গেলে মৃত ব্যাক্তির লাশ সম্পূর্ণ বিনা খরচে বাড়িতে বা গোরস্থান কিংবা শ্মশানে পৌছে দিয়েও মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আশরাফ হোসাইন । এছাড়াও তার নির্দেশনায় সদর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দুইজন বীরমুক্তিযোদ্ধার লাশসহ প্রায় ৬ জন করোনা রোগীর লাশ দাফন কাফন করা হয়েছে।
আশরাফ হোসাইন বলেন, আমি ময়মনসিংহ সদরের সন্তান। কারো ভাই, কারো বন্ধু, কারো ভাতিজা-ভাগিনা। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর থেকেই উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ সকল ইউনিয়নে সমভাবে বন্ঠন করে উপজেলাকে উন্নয়নে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি ছাত্র থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতি সঙ্গে সম্পৃক্ত। আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময়ে দলের দূর্দিনে সংগঠনকে সুসংগঠিত করা জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হামলা, মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তবু কখনো পিছুপা হইনি। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে আমি মানুষের সেবা করে আসছি। চেয়ারম্যান আরও বলেন, নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি ছিল মডেল উপজেলা করব। এ লক্ষ্যেই বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ করছি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সদর উপজেলার সবকটি ইউনিয়নকে একটি আদর্শ ও মডেল এবং দৃশ্যমান এলাকায় রূপান্তরিত করতে কাজ করছি।

এ উপজেলায় থাকবে না কোন বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, মাদক জোয়া এমনকি জঙ্গীবাদ। উপজেলাটিতে শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে সরকার ঘোষিত সকল প্রকার সুবিধাদি পাচ্ছেন উপজেলায় বসবাসকৃত সর্বসাধারণ। আমি সারাজীবন উপজেলাবাসীর কল্যাণে ও উন্নয়নে কাজ করতে চাই। সবার সহযোগিতা নিয়ে সদর উপজেলা কে একটি মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন সফল এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।