আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ।।
আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ শ্লোগানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ভূমিহীন গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘরে কাজের সচ্ছতা যাচাই-বাছাই করেছেন জেলা প্রশাসক এনামুল হক। একই দিনে তিনি প্রথম পর্যায়ে বরাদ্দকৃত নির্মাণাধীন ঘরপ্রাপ্তদের খোজ খবর নেন এবং তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা বাস্তবায়নের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে আবারো নতুন ঘর পাচ্ছেন নান্দাইল উপজেলার আরো ১০টি গৃহহীন পরিবার।
ঘরগুলো পাওয়ার আনন্দে গৃহহীনরা খুশি হয়েছে। এসব গৃহহারা মানুষদের তালিকা প্রস্তুত করে সচ্ছতার মধ্য আনয়ন করতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচী আরো সফলতার মূখ দেখবে তৃনমূলের গৃহহীন মানুষ উপকৃত হবে।
উপজেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০টি( ক) শ্রেনীর ঘর নির্মান করে দিচ্ছেন সরকার। ২০ জুন প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এসব ঘর নির্মানের ক্ষেত্রে কোন জটিলতা বা সমস্যা আছে কিনা তার তদারকি করতে ১৯ জুন, ২০২১ খ্রিঃ তারিখ নান্দাইল উপজেলার ২য় পর্যায়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক এনামুল হক।এ সময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের সঠিক উচ্চতা, মাটির নিচের লেয়ার, নির্মাণ সামগ্রী, ঘরের ভিত্তি পরীক্ষা করে দেখেন তিনি।
পরিদর্শনের সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর; উপজেলা প্রকৌশল অফিসার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ স্থানীয় কর্মকর্তারা। ২০শে জুন প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভোধনের পরপরই এদিন নান্দাইল উপজেলায় ১০টি পরিবারকে তাদের বরাদ্দের জমি ও ঘরের দলিলপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ শ্লোগানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় যাদের জমিও নেই ঘরও নেই্ ২শত পরিবার পুনর্বাসনের জন্য ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ২শতাংশ জমিতে এসব ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। রান্নাঘর সংযুক্ত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধাসহ দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অভাবী গৃহহীন নদীভাঙ্গা মানুষ স্বপ্নেও ভাবেনি তারা কোনা আশ্রয় পাবে, পাঁকা ঘরে হবে তাদের বসতি।
নদীগর্ভে বিলীন শেষ সম্বল হারানো এসব পরিবারের কষ্টের দিনগুলো আর থাকবে না, তারা নতুন ঘরে নতুন আশা নিয়ে নতুন দিনের স্বপ্ন বুনবে উজ্জল ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় সরকারের ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করছেন ।
জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন- মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর দেওয়া ছাড়াও এসব পরিবারকে ঋণদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা ও আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র দূর করা হবে। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন।
যার মূল লক্ষ সরকারি খাস জায়গায় ভূমিহীনদের জন্য হচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই, নতুন একটি ঠিকানা। গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত করতেই সরকারের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।