ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ঢুকার পর হতে সারা দেশে করোনা সনাক্তের হার ও মৃত্যুহার দুটোই বেড়ে চলছে।সনাক্তের হার এখন প্রায় ২০-২১%.
এই ভ্যারিয়েন্টে কমন যে লক্ষণগুলো পাওয়া যায় তা হলো মাথাব্যথা,নাক দিয়ে পানি ঝরা,জ্বর।
করোনার কমন যে লক্ষণগুলো পূর্বে পাওয়া যেত যেমন কাশি,ঘ্রাণ চলে যাওয়া, শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যাওয়া এগুলো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এ কম পাওয়া যাচ্ছে।এজন্য মানুষ জন নাক দিয়ে পানি পরা,হালকা ঠান্ডা, মাথাব্যথা দিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে ও অধিক মানুষকে আক্রান্ত করছে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রাশিয়া,আফ্রিকা বা অন্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি দ্রুত ছড়ায়।এ ধরন বাচ্চা ও যুবকদেরও আক্রান্ত করছে,এই ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হার অনেক বেশি ও খুব দ্রুত রোগী খারাপ হয়ে যাচ্ছে,বিশেষ করে বয়স্ক লোক,যাদের ডায়াবেটিস,উচ্চরক্তচাপ ও শ্বাসকষ্ট রোগ আছে।
বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে আইসিইউ বা অক্সিজেন বেশি পরিমানে লাগতেছে।সুস্হ্য থাকতে চলে
বাহিরে গেলে আমাদের অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে । সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।ধুমপান,পান পাতা, জর্দা, গুল,মদপান এসব পরিহার করুন।জনসমাগম এড়িয়ে চলুন।বেশি করে সবুজ, সতেজ শাকসবজি, ফলমূল খান।বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার লেবু,আনারস খান।প্রতিদিন কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট হাঁটুন।
অবষাদ,ক্লান্তি, দুর্শ্চিন্তা ঝেরে ফেলুন।মনকে সতেজ রাখুন,তাহলেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে পারব।
লেখক ঃ
ডা: মো: কুতুব উদ্দিন আইবেক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
মাধ্যম ঃঃ
সাইফুল ইসলাম তরফদার
ময়মনসিংহ।