আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহে বৃহস্পতিবার ১ লা জুলাই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বাত্মক লকডাউন পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কঠোরতায় লকডাউনে ময়মনসিংহ নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রধান শহর ছিলো ফাঁকা। বিভিন্ন পয়েন্টে ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ময়মনসিংহ নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল পয়েন্টে পুলিশের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মত।
কঠোর লকডাউনে করোনা মহামারি থেকে মানুষকে বাঁচাতে সংক্রমণ মোকাবেলায় ময়মনসিংহ জেলায় প্রশাসনের কঠোরতায় সর্বাত্মক লকডাউন নিশ্চিত করণে প্রথম দিনে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় জেলাসদরের ১৩টি পয়েন্টে চলে ম্যাজিস্ট্রেট এর অভিযান। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি গণের নেতৃত্বেও অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসক এনামুল হক এর নির্দেশনায় স্বাস্থ্য বিধি মানাতে ম্যাজিস্ট্রেট গণের নেতৃত্বে অভিযানে ২৭৭ মামলায়
২৩৫,০১০জরিমানা দুই লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার দশ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক জানান- বৃহস্পতিবার ১লা জুলাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৩টি টিম মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন ।তিনি জানান- ১লা জুলাই নগরীর পাটগুদাম হতে শম্ভগঞ্জের আশপাশা এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম আরিফ, দিঘারকান্দা ও তার আশেপাশের এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট জিনিয়া জামান,কাচিঝুলি ও রহমতপুর বাইপাস এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট এরফানুর রহমান,সি কে ঘোষ রোড হতে চড়পাড়া হয়ে দিগারকানান্দায় ম্যাজিস্ট্রেট তাসফিক সিবগাত উল্লাহ,আকুয়া-ফুলবাড়িয়া-বাইপাস ও তার আশপাশের এলাকায় আজওয়াদ হোসেন,নতুন বাজার-টাউন হল- পার্ক-ডিসি অফিস-আনন্দমোহন কলেজ এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩১নং ওয়ার্ড হতে ৬ নং ওয়ার্ড ও তার আশপাশের এলাকায় মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, ৭-১২ নং ওয়ার্ডে মনোরঞ্জন বর্মন, ১৩থেকে ২৫নং ওয়ার্ড ও তার আশপাশের এলাকায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, ২৬ থেকে ৩৩নং ওয়ার্ড এলাকায় মোসাঃ নিকহাত আরা,গৌরীপুর-ঈশ্বরগঞ্জ- নান্দাইল উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেট হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ,ভালুকা ও ত্রিশাল উপজেলায় মাঈদুল ইসলাম, ফুলবাড়িয়া -মুক্তাগাছা উপজেলায় এরশাদুল আহমেদ সহ বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি গণের নেতৃত্বে এসব অভিযান পরিচালিত হয়।
এদিকে লকডাউন পরিস্থিতির বাস্তব চিত্র পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক এনামুল হক শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তার টিমের সাথে কথা বলেন এবং দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।এ সময় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক, জেলা গোয়েন্দা শাখা অফিসার ইনচার্জ (ডিবি)র ওসি মোঃ শাহ কামাল আকন্দসহ ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
শহরের টাউনহল মোড়, গাঙ্গিনারপার, স্টেশন রোড, ব্রীজ মোড়, চরপাড়া, মাসকান্দা বাইপাস,মোড়ে সেনাবাহিনী,র্যাব বিশেষ টহল দেন দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব,বিজিবি ও পুলিশের সূস্যরা। কারণ ছাড়া বের হলে জরিমানা আদায় করা।
স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করণের মাধ্যমে করোনামুক্ত ময়মনসিংহ জেলা উপহার দিতে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক নিয়মিত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে পরিচালিত অভিযানকে সহযোগীতা করতে ময়মনসিংহ বাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক।
জেলা প্রশাসক মো: এনামুল হক বলেন, মাস্ক না পড়া, সামাজিক দুরত্ব না মানা, সরকারী ঘোষণা অনুসারে যেসব দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা সেগুলো খুলে রাখাসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ না মানার কারনে এসব মামলা এবং জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি জানান,করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে লকডাউনে কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করণে কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। প্রয়োজনে আরো কঠোর হবে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করণে ও সরকারের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের কঠোরতায় লকডাউনে মাস্ক বিহীন বিনা প্রয়োজন ঘুরাফেরা ও স্বাস্থ্য বিধি না মানায় বিভিন্ন আইনে ২৭৭মামলায় জরিমানা আদায় করেছে জেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম।
তিনি জানান-করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করণে ও সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানান ডিসি এনামুল হক।