আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহ সদরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে কঠোর ভাবে সর্বাত্বক লকডাউন পালিত হচ্ছে। করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে ইউএনও’র কঠোরতায় রাস্তায় দু‘একজন পথচারী ছাড়া কাউকে আসতে দেয়া হচ্ছে না।
১,জুলাই থেকে নতুন করে ৭দিনের কড়াকড়ি লকডাউনের তৃতীয় দিন শনিবারেও তিনি সকাল থেকে নগরীর চড়পাড়া,কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা,চুড়খাই সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করেন।
তিনি লকডাউন বাস্তবায়নে তৎপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম এসময় বিনাকারণে ঘুরাঘুরি, মাস্ক না পরা ও স্বাস্থ্য বিধি না মানায় আইন অমান্যকারীদের আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত মামলা ১৭ মামলায় জরিমানা ৮৫৫০টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অভিযানে ইউএনও সাইফুল ইসলামকে সহযোগিতা করেছেন পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা। ইউএনও’র কড়া অভিযানে বন্ধ রয়েছে দোকান পাট শপিংমল। চলছে না কোন ভ্যান, রিকসা, ইজিবাইক বা অন্য কোন মোটর যান। তবে সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচলসহ লোড আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক আছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্মকর্তা জানান, পুলিশ প্রশাসন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলার প্রবেশ মুখে সকল সংযোগ সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। সড়ক-মহাসড়কের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানে হয়েছে পুলিশের নিয়ন্ত্রিত চেকপোষ্ট। সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে আমদানি রফতানি বাণিজ্য, শুল্কায়ন ও লোড আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে।
কেহ যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাস্তায় সকল ধরনের যানচলাচল বন্ধ আছে। কাঁচা বাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করতে পারবে।
খাবারের দোকান, হোটেল রেস্তোরা সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত পার্সেলে বেচাকেনা করতে পারবে। সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাঠে কাজ করছেন সদর উপজেলা প্রশাসনসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও বিজিবি।