আনোয়ার হোসেন তরফদার :
ফেসবুকে মন্তব্য করা নিয়ে ভালুকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজ ছাত্র সাঈম খান খুন হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এজাহারভুক্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (৫ জুলাই) রাতে নেত্রকোনার পুর্বধলা উপজেলার তারাকান্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার বাড়ি থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- আমান উল্লাহ পাঠানের ছেলে সাব্বির (১৭), মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সারোয়ার (২০) ও হাবিব উল্লাহর ছেলে সোহাগ (১৬)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মেহেরাবাড়ী গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে মিরাজ একই গ্রামের আমান উল্লাহ পাঠানের ছেলে সাব্বির, হাবিব উল্লাহর ছেলে সোহাগ ও সোলমানের ছেলে মনিরকে জড়িয়ে ফেসবুকে নেশাখোর মন্তব্য করে একটি কমেন্ট করে। এরই জের হিসেবে রবিবার সন্ধ্যায় মিরাজের বিচার করার জন্য মনির মোবাইল ফোনে সাঈম খানসহ ৭-৮ জনকে ডেকে আনে। এ সময় দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে সাঈম খান ও মিরাজ আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে ভালুকা ৫০ শয্যা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মাঝে সাঈম খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার সকালে সে মারা যান। এ ঘটনায় নিহত সাঈমের বাবা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত তিন আসামীসহ ৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩/৪ বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় একটি খুনের মামলা দয়ের করেন।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।