Header Image

ভালুকায় অবৈধ ভাবে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ হুমকির মুখে পরিবেশ। 

আনোয়ার হোসেন তরফদারঃ
ভালুকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘেঁষে অবৈধভাবে গড়ে ওঠেছে কয়লা কারখানা। এতে শাল-গজারি, আকাশমনি, ইউক্যালিপটাস, মেহগনি ও বেলজিয়ামসহ নানা প্রজাতির কাঠ কয়লা বানানোর কাজে পুড়ানো হচ্ছে। ফলে কারখানার ধোঁয়ায় পরিবেশ হুমকির মুখে।
শিশু, বৃদ্ধ, পশু-পাখি ও বন্যপ্রাণিদের নানা অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও শাল-গজারিসহ সামাজিক বনায়ন উজাড় হওয়ার পথে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের চামিয়াদী বাজারের উত্তর পাশে ইমান আলীর ছেলে আব্দুল কাদের মিয়ার একটি কয়লার কারখানা রয়েছে। কারখানাটি গড়ে তোলা হয়েছে সামাজিক বন ঘেঁষে এবং ঘনবসতি এলাকায়।
সংরক্ষিত ও সামাজিক বন থেকে আনা কাঠ ওই চুলায় দিন-রাত পুড়িয়ে কয়লা বানানো হচ্ছে।
কারখানার আশপাশে বিশাল আকৃতির কাঠ স্তুপ করে রাখা আছে। চার-পাঁচজন শ্রমিক দিন-রাত কাঠ চুলায় পোড়ানোর কাজ করছেন।
দিনরাত ওইসব চুলা থেকে নির্গত ধোঁয়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে এসব এলাকার শিশু, বৃদ্ধ, গবাদি পশু-পাখিসহ ফসলও নানা রোগে আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে সামাজিক বনায়ন ও সংরক্ষিত শাল-গজারি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)  ভালুকা আঞলিক শাখার সদশ্য সচিব সাংবাদিক কামরুল হাসান পাঠান কামাল একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন  বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকলসহ বন ও পরিবেশ বিধ্বংসী কোনো কারখানা গড়ে তোলা বেআইনী।আর যেভাবে বন ধংস করা হচ্ছে তাতে আমরা আর কিছুদিন পরে আর নির্মল অক্সিজেন পাবনা। তাই এই খেকুদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ।
কারখানা থেকে ১০০ গজের মধ্যে আবদুল জলিল মিয়ার বাড়ি। তিনি বলেন, ‘দিনরাত কারাখানার ধোঁয়া ও গন্ধে বাড়িতে থাকা যায় না। পরিবারের প্রায় সকলেই কোন না কোন অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে কাশি তো আছেই।
উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন উর রশিদ  বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না । তবে খোঁজ নিয়ে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!