Header Image

ময়মনসিংহে ওসি কামালের নেতৃত্বে ২৪ঘন্টায় হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার করেছে ডিবি।।

 

আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ।।

ময়মনসিংহে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে ২৪ঘন্টার ব্যবধানে অটোরিকশার চালক রুবেল হত্যা মামলার তিন ঘাতককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন – আরিফুর রহমান হাসান মীর, সজিব মাহমুদ রোজ ও ইমন হোসেন। গ্রেফতারকৃতরা অটো রিকশা ছিনতাই করতেই ওই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, শম্ভুগঞ্জ রাঘবপুর গাঙ্গপাড়ার অটোরিকশা চালক রুবেল প্রতদিনের ন্যায় নিজ বাড়ী থেকে গত ১২ জুলাই অটেরিকশা নিয়া শম্ভুগঞ্জ মোড় থেকে পাটগুদাম ব্রীজ মোড় এলাকায় ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে যায়। ওই দিন রুবেলে মোবাইল বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে কোথাও পায়নি। পরদিন ১৩ জুলাই লোকমুখে জানতে পায় নগরীর ঝাউগড়া চিড়া হরিবন্ধ এলাকায় ডোবার পানিতে একটি লাশ পড়ে আছে। এ খবরে রুবেলের ভাই সেখানে গিয়ে তার ভাইয়ের লাশ সনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় ১৩ জুলাই মামলা (নং ৩০) দায়ের করেন।

ডিবির ওসি আরও জানান, অটোচালক রুবেলকে শ্বাসরুদ্ধ ও ইট দিয়ে মাথা থেতলিয়ে হত্যা ও অটো ছিনতাইয়ের ঘটনাকে প্রাধান্য দিয়ে ঘাতকচক্রকে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে মামলার রহস্য উদঘাটন করতে দায়িত্বশীল পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করে। দায়িত্বপ্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত ২ ঘাতককে ডিবি পুলিশ গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে ডিবির এসআই মনিরুজ্জামান আরো জানান, ঘটনার সাথে ইমন, আরিফ, সজিব ও আপন সরাসরি জড়িত।

ইমন পুলিশকে জানায়, ওই দিন সন্ধ্যায় ইমনকে আরিফ বলে একটি ধান্ধা আছে। ৫ থেকে ৬ শত টাকা পাওয়া যাবে। এ কথায় ইমন রাত ১০ টার দিকে শম্ভুগঞ্জ মোড়ে আসে। শম্ভুগঞ্জ মোড়ে থেকে তারা রুবেলের মিশুক অটো ভাড়ায় নিয়ে কলতাপাড়া গিয়ে পান সিগারেচ খেয়ে চলে আবারো চলে আসে চান পাম্পের সামনে। এ সময় ইমন টয়লেট করতে যায়। এসে দেখতে পায় অটোচালক রুবেলের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে এবং আরিফ ও সজিবের হাতে বেল্ট।

ইমন পুলিশকে আরও জানায়, আরিফ ও সজিব তাকে বলে লাশটা ধর ডোবায় ফেলে দেই। পরে ইমন, আরিফ ও সজিব লাশটি ধরে ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায়। এর আগে এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কোতোয়ালী পুলিশ আপন নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!