Header Image

ময়মনসিংহ সেন্ট্রাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের অবৈধ কর্মকান্ড!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

ময়মনসিংহ সেন্ট্রাল স্কুল ও কলেজ নামে কোন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেই, অথচ স্কুল কলেজে ভর্তি নামে প্রচার চালানো হয়। ২০০৮ সাল থেকে নানা সুবিধার কথা উল্লেখ করে চটকদার লিফলেট বিতরণ ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্কুলে ও কলেজে শ্রেণিতে ভর্তির নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়।

 

অনুমোদনহীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কুলের শিক্ষার্থীদের ময়মনসিংহের তারাকান্দার ধারাকান্দা এবং অন্য স্থানের কলেজ থেকে পরীক্ষা দেওয়ানো হয় । ময়মনসিংহ শহরের সিকেঘোষ রোড এবং চর ঈশ্বরদীয়ায় শাখা কার্যক্রমের কথা বলা হলেও বহুসংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। নিবন্ধন করা প্রতিষ্ঠান ।

 

এর মধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে এরকার্যক্রম শুরু স্কুল অ্যান্ড কলেজটির। কিন্তু বোর্ডে এ নামের কোনো স্কুলেরই অনুমোদন নেই। সেন্ট্রাল স্কুল আ্যান্ড কলেজের একাডেমিক অনুমোদন ও পাঠদানের অনুমোদনসহ কোনো ধরনের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও তারা শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ময়মনসিংহ বিভিন্ন বাড়িতে শিক্ষার্থীদের স্বল্প খরচ ও অল্প বেতনে পড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছে।
কয়েকজন ছাত্র জানান, এখানে ভর্তির হওয়ার পর জানতে পারি এ প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখারই কোনো একাডেমিক স্বীকৃতি নেই। আমাদের অন্য একটি স্কুলের অধীন এসএসসি পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের কলেজে ভর্তির জন্য বলা হচ্ছে।অভিভাবকদের বোকা বানানো হচ্ছে ।

 

এ বিষয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম জানান, আমি দুটি পত্রিকার সম্পাদক, একটি জাতীয় দৈনিক আলোকিত সকাল আরেকটি দৈনিক আজকের আলোকিত সকাল । তাই আমার প্রতিষ্ঠান নিয়ে নিউজ করা যাবেনা। সরকার এ বিষয় দেখবে । চাকরি বৈধভাবেই করি। জানা যায়,বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া কোনো স্কুল কলেজ শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারে না। কোনোভাবেই ভর্তি কার্যক্রম চালানো যাবে না। অনুমোদনহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!