আরিফ রববানী ময়মনসিংহ=
ময়মনসিংহে স্বাস্থ্য বিধি মানাতে ব্যাপক তৎপর প্রশাসন।
কঠোর লকডাউনের প্রথম তিন দিনে ময়মনসিংহে
পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মোট ১,১৪৪ টি মামলা দায়ের করা হয় এবং মোট ৬,২৩,৭৪৫/- ছয় লক্ষ তেইশ হাজার সাত শত পয়তাল্লিশ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। লকডাউন অমান্য করে অকারণে বের হওয়ায়, যানবাহন এবং দোকানপাট খোলার অপরাধে এ জরিমানা করা হয়।
রবিবার (২৫ জুলাই) ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আয়েশা হক জানান, ২৩থেকে ২৫শে জুলাই পর্যন্ত জেলার ১৩টি উপজেলায় ১৩ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োজিত ২৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ৫২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ভোর ৬.০০ টা হতে রাত ১০.০০ পর্যন্ত পুরো ময়মনসিংহ জেলায় শহরে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে অভিযান পরিচালনা করছেন। এতে গত ২৩ জুলাই ২০২১ থেকে ২৫ জুলাই ২০২১ তারিখ পর্যন্ত পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মোট ১,১৪৪ টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ৬,২৩,৭৪৫/- টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়৷
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় ময়মনসিংহের প্রধান উপজেলা ময়মনসিংহ সদর, এ উপজেলার মানুষকে নিরাপদে রাখতে আমরা উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক,সামাজিক ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে সর্বাত্মক লকডাউন পালনের চেষ্টা করছি। আশা করছি, মানুষ তাদের জীবন রক্ষার জন্যই লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া যাত্রীদেরও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলতে বলা হচ্ছে। চেষ্টা চলছে সব পক্ষের সহযোগিতায় করোনাভাইরাস মোকাবিলা করার।
জেলা প্রশাসক এনামুল বলেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জাতীয়ভাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২৩শে জুলাই থেকে চৌদ্দ দিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিছু মানুষ বিভিন্ন অজুহাতে ঘরের বাইরে অকারণে ঘোরাফেরা, কিছু যানবাহন ও দোকানপাট খোলার চেষ্টা হয়েছে। আমরা নিরুৎসাহিত করার পরও যারা আইন অমান্য করার চেষ্টা করেছে, তাদেরকেই ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান করে মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা একজন মানুষকেও ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করতে চাই না। কিন্তু এতো সচেতনতা চালানোর পরও কিছু মানুষ অকারণে বের হওয়ায় দুর্ভাগ্যবশত জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে দোকানপাট ও যানবাহনও রয়েছে।
তিনি বলেন- জেলা প্রশাসন, ময়মনসিংহের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনী অভিযান পরিচালনায় সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিতকরণে স্কাউট, বিএনসিসি ও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন জেলা প্রশাসন, ময়মনসিংহকে সহায়তা করছে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যক্তিত্বগণ সর্বক্ষণ মাঠে থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছেন৷ জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন, ময়মনসিংহের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়ে তিনি লকডাউন বাস্তবায়নের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বস্তরের জনতার সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।।