
স্টাফ রিপোর্টার :
২০০৩ সালে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন সাঈদ বিন নুর চেীধূরী পাপ্পু। ২০১৭ সালে জেলা যুবলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির ১২ নং সদস্যের তালিকায় তার নাম দেখা যায়।
দলীয় সূত্র জানায়, যুবলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম¥দ ওমর ফারুক চেীধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ দলীয় প্যাডে স্বাক্ষর করেন।
সাঈদ বিন নুর চেীধূরী পাপ্পুসহ তৎকালীন কার্যকরী কমিটির অনুমোদন দেন ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারী। সাঈদ বিন নুর চেীধূরী পাপ্পুর যুবলীগ সদস্য পদ ব্যবহার করে এলাকায় পোষ্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড টানানোর ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় ।
জেলা ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ না করেই পাপ্পু জেলা যুবলীগের সদস্যের পদ ব্যবহার করছে এই ভেবে সেসসময় বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । সেই চাঁপা ক্ষোভ এখন উত্তেজনার পর্যায়ে এসে ঠেকেছে ।
জেলায় শুধু পাপ্পুই নন। কলেজ ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ না করেই বারহাট্্রা উপজেলা যুবলীগের সভাপতির পদ স্থান করে নিয়েছেন সাদিক ফকির । তিনি এখন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি । স্ব স্ব এলাকায় এইসব নেতাদের পোষ্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড টানানোর ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় । তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি উঠেছে । এরা বিএনপি’র সাথেও প্রতারনা করেছে বলে ঐ দলের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে।
এইসব নেতারা এলাকায় নিরিহ জনগন, ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ নানান শ্রেণি পেশার মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছে।
যা এখনও অব্যাহত আছে । ভূক্তভোগীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এইসব নামধারী যুবলীগ নেতারা পৃকৃত পক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের এক শ্রেণির নেতৃবৃন্দেও সাথে সখ্যতা রেখেই চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত।
এই সব নেতাদের বিরুদ্ধে এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা ও মামলার অভিযোগ রয়েছে। তাদের হামলা ও মামলার কারনে অনেক আওয়ামী লীগের নেতা- কর্মী এলাকা ছাড়া।
জানা যায়, ২০০৮ সালে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংসদ নির্বাচনে ‘ভূমিধস বিজয়ের’ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে।
বিপুল বিজয়ের পর বিএনপি জামায়াত সমর্থকরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনে ভিড়ে নানা সুবিধা নেয় এবং প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত এইসব নেতা-কর্মীদের কর্মকান্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে ।
যদিও তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের পরও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তাদের অপকর্ম থেমে নেই।
এ বিষয়ে সাঈদ বিন নুর চেীধূরী পাপ্পুর মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করেও পাওায়া যায়নি ।