Header Image

ফ্যাক্ট ওয়াচের নামে গণমাধ্যমের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ

 

ফ্যাক্ট ওয়াচের নামে অনলাইন গণমাধ্যমগুলোর উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সাংবাদিক পরিষদ (বনেক) এর সভাপতি খায়রুল আলম রফিক। তিনি দাবি করে বলেন, ফ্যাক্ট ওয়াচ নামের যে প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে সেটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনলাইন গণমাধ্যমগুলোর উপর হস্তক্ষেপ করছে। ফেসবুকের কল্যানে কোম্পানিটি বিভিন্ন পোষ্টের উপর রেটিং করছে। যাতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলো। ফ্যাক্ট ওয়াচের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ফেসবুক বিভিন্ন পেইজের মনিটাইজেশন বন্ধ করে দিচ্ছে। যার ফলে বেকায়দায় পরছে এই সেক্টর থেকে আয় করা প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক অনলাইন ফেসবুকের বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভরশীল অথচ এই ফ্যাক্ট চেক কোন রকম সুযোগ না দিয়েই রিপোর্ট করে পেউজগুলো উপর প্রভাব বিস্তার করছে।

এমনকি ফ্যাক্ট ওয়াচ নামের এই সংগঠনটি কোন কারন ছারাই নিজস্ব নিয়ম তৈরি করে সংবাদে ভুল ধরা, ছবিতে ভুল ধরা সহ নানা ভুল ধরছে যা অযৌক্তিক হচ্ছে অনেকসময়।

খোজ নিয়ে দেখা গেছে ফ্যাক্টওয়াচ নামের সংগঠনটি ইউল্যাবের কতিপয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী দ্বারা পরিচালিত। যেখানে পরিচালক এবং প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে রয়েছে সুমন রহমান, প্রযুক্তি সম্পাদক নাফিস মনসুর, ফ্যাক্ট চেকার হিসেবে রয়েছে সামস ওয়াহিদ সাহাত, আপন দাস ও জহিরুল ইসলাম। এদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এবং প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সুমন রহমান ইউসিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস-এর গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক। অফিস অব ফ্যাকাল্টি রিসার্চ-এর পরিচালক। সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল এন্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ এর পরিচালক। গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত। বাংলাদেশে মিডিয়া ও ইনফরমেশন লিটারেসি নিয়ে আলাপের প্রবক্তা।

ড. নাফিস মনসুর ইউল্যাবের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়শিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ফ্যাক্ট ওয়াচের সদস্যদের বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তিগত বিষয়ে, যেমন ওয়েব পেইজের রক্ষণাবেক্ষণ এবং ফ্যাক্ট চেকিং এ প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

বাকি তিনজন শিক্ষার্থী। ফ্যাক্ট ওয়াচ কোম্পানিটির কোন নিবন্ধনের অস্থিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়া এর ওয়েব সাইটে যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে সেখানেও কোন অফিসের অস্থিত্ব পাওয়া যায়নি। ওয়েব সাইটে দেওয়া ফোন নম্বরগুলোও অচল।

ফ্যাক্ট ওয়াচের এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ অনলাইন পোর্টালের মালিকগন। এদের মধ্যে অনেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও আভাস দেন। বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্ট ওয়াচের কাছে একাধিকবার ইমেইল করলেও কোন সাড়া দেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!