Header Image

আগস্টের প্রথম দিনে লকডাউনে১৪৬ মামলায় জরিমানা-৫৯,০০০/- টাকা

 

আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ।।

 

ময়মনসিংহে লকডাউনে স্বাস্থ্য বিধি মানাতে সরকারের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে
গত ২৩থেকে নিয়মিত জেলার ১৩টি উপজেলায় ১৩ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োজিত ২৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ৫২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ভোর ৬.০০ টা হতে রাত ১০.০০ পর্যন্ত পুরো ময়মনসিংহ জেলায় শহরে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে অভিযান পরিচালনা করছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার (১লা আগষ্ট) জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের পৃথক অভিযানে জেলাজুরে১৪৬ টি মামলায়-৫৯,০০০/- টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে জেলা প্রশাসন- ৯২ টি মামলায়-৪৩,৩০০/- টাকা,
উপজেলা প্রশাসন- ৩৫ টি মামলায় ১২,৬০০/- টাকা,
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন-১৯ টি মামলায় ৩,১০০/- টাকা সর্বমোট ৫৯,০০০/- টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করণে ময়মনসিংহের চরপাড়া,সি.কে.ঘোষ রোড ও দীঘারকান্দা বাইপাস এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
এতে মাস্ক না পড়ায় ও স্বাস্থ্য বিধি না মানায় বিভিন্ন মামলায় অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

লকডাউন পালনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরণের দোকাপাট বন্ধ রয়েছে। মহামারি প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে ও সরকারের নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালনে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার ঘোষিত লকডাউন মানাতে কঠোর অবস্থানে জেলা প্রশাসন।

লকডাউন চলাকালে সকাল থেকে ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে পুলিশের চেকপোষ্টে তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। পুলিশ সদস্যরা জরুরী প্রয়োজনে চলাচলরত ব্যক্তিদের আইডি কার্ড ও পরিচয়পত্র দেখে জিজ্ঞাসাবাদ সাপেক্ষে তাদেরকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের পরামর্শ দিচ্ছেন।

একইভাবে ছোটখাটো কিছু যানবাহন যেমন টমটম, ইজিবাইক, অটোরিক্সা চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রিত করতে শহরের বিভিন্ন স্পটে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার দেখলেই থামাচ্ছেন তারা। জানতে চাচ্ছেন কেন বের হয়েছেন, কোথায় যাচ্ছেন? সদুত্তর না মিললেই পুলিশ তাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

অপরদিকে জরুরি মালামাল নিয়ে আসা যানবাহনগুলোর গায়ে লেগে যেন করোনাভাইরাস প্রবেশ না করতে পারে, সে কারণে গাড়িগুলোকে জীবাণুমুক্ত করে দিচ্ছে প্রশাসন।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, ‘লকডাউনের আওতায় থাকা ময়মনসিংহ সদর এলাকায় ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিকসহ সবধরণের সভা-সমাবেশ বা গণজমায়েত বন্ধ থাকার পাশাপাশি কাঁচা বাজার, মুদির দোকান, মার্কেট ও বিপণী বিতান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসময় মানুষকে ঘরে অবস্থানের নির্দেশনাও দেন তিনি।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আয়েশা হক জানান-জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে জেলার ১৩টি উপজেলায় ১৩ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োজিত ২৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ৫২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ভোর ৬.০০ টা হতে রাত ১০.০০ পর্যন্ত নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!